তিনজন ইমামে ছয়দিনেই ‘খতম তারাবিহ’

  23-05-2018 04:20AM

পিএনএস ডেস্ক: মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ক্যাম্পাসে শত শত মানুষের ভিড়। প্রায় সবার মাথায় টুপি, কারও হাতে জায়নামাজ। আবার কারও হাতে তসবিহ। মিনিট খানেক আগেই তারা সকলেই মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এসেছেন। বাইরে বেরিয়ে কেউ প্রাইভেটকার কেউ মোটরসাইকেল আবার কেউবা গেটের বাইরে রিকশা ভাড়া করে বাসায় ফিরছেন।

ওপরের বর্ণনা শুনে পাঠকরা হয়তো ভাববেন দেশের একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কি এমন ঘটনা ঘটলো যে এতো গভীর রাতে শত শত মানুষ দলবেঁধে মসজিদে ছুটে এসেছেন।

মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসা মুসল্লিদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেল, পহেলা রোজার আগের দিন থেকে ক্যাম্পাসের এই মসজিদে খতম তারাবিহ শুরু হয়। অন্যান্য মসজিদে প্রায় রমজানজুড়ে (পবিত্র লায়লাতুল কদরের রাত অর্থাৎ ২৭ রমজান) কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে তারাবিহ নামাজ পড়ানো হলেও এ মসজিদে ব্যতিক্রমভাবে মাত্র ছয়দিনে খতম তারাবিহ শেষ হয়।

পহেলা রমজানের আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে তারাবিহ নামাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোরআন শরিফ খতমের মাধ্যমে খতমে তারাবিহ শেষ হয়। বিগত এক দশকেরও বেশি সময় যাবত এ পদ্ধতিতে তারাবিহ নামাজ পড়ানোর ধারা চলে আসছে।

আজিমপুর নতুন পল্টন লাইনের বাসিন্দা রাকিব আহম্মেদ নামে একজন মুসল্লি জানান, তিনি পরিচিত একজনের মাধ্যমে শুনে পহেলা রমজানের আগের রাত থেকে এ মসজিদে তারাবিহ নামাজ পড়তে আসছেন।

তিনি জানান, প্রতিদিন রাত ১০টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত নামাজ পড়ানো হয়। তিনজন ইমাম পর্যায়ক্রমে নামাজ পড়ান।

আরিফ আহম্মেদ নামে অপর এক ওষুধ ব্যবসায়ী জানান, ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত থাকায় মহল্লার মসজিদে তারাবিহ নামাজে সময়মতো যেতে পারেন না। রাত পৌনে ১১টায় নামাজ শুরু হওয়ায় সব কাজ শেষ করে এখানে নামাজ পড়তে আসেন।

একটু কষ্ট হলেও ছয়দিনের মধ্যে কোরআন শরিফ তেলওয়াতের মাধ্যমে তারাবিহ নামাজ পড়ার সুযোগ পাওয়ায় তিনি খুবই খুশি বলে জানান।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন