পাসপোর্ট কর্মকর্তার আচরণের ভিডিও নিয়ে তোলপাড়!

  23-06-2018 01:05PM

পিএনএস ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের লন্ডন হাইকমিশনে অরাজকতা এবং কর্মচারী, কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এক পাসপোর্ট কর্মকর্তার দম্ভোক্তিপূর্ণ একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর কমিশনে ভোগান্তি ও হয়রানির অভিযোগে সরগরম ব্রিটেনের বাঙালি কমিউনিটি।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, পাসপোর্ট ও ভিসা বিভাগের দায়িত্বে থাকা ফার্স্ট সেক্রেটারি এ এফ এম ফজলে রাব্বী নামের কর্মকর্তা ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তিকে দম্ভোক্তি করে বলছেন, "আপনি পাসপোর্ট পাবেন না, আপনার পাসপোর্ট জীবনেও হবে না" এবং এক কর্মচারীকে ওই ব্যাক্তির আবেদন ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিতে দেখা যায়।

ভুক্তভোগী হোসাইন তপু আহামেদ জানান, অনলাইনে আবেদন করে মঙ্গলবার দুপুর ১২.৪৫ মিনিটে তিনি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় বরাদ্দ পান। কিন্তু সাড়ে ১১টায় তাকে বলা হয় নামাজ এবং দুপুরের খাবারের বিরতির পর দুইটা/ আড়াইটার দিকে যেন আসেন। তপু বলেন, আমার বরাদ্ধকৃত সময় ১২টা ৪৫ মিনিটে আমি ২টার পরে আসব কেন? সেখানে কর্মরত এক কর্মচারী জানান, সেটাই নাকি নিয়ম। অথবা পরের দিন আসতে বলেন। এর প্রতিবাদ করাতে রাব্বী নামের কর্মকর্তা তার রুম থেকে বের হয়ে ভুক্তভোগী তপুর আবেদনপত্র ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। এবং জীবনেও পাসপোর্ট পাবেন না বলে হুমকি দেন।

অন্যদিকে, পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রেও অভিযোগ আছে ডিজিটাল বাণিজ্যের। অনলাইনে হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করা গেলেও সেই আবেদনপত্রের কিছু অংশ প্রিন্ট নেয়ার সুযোগ নেই। যার জন্য হাইকমিশনে গিয়ে পুরো আবেদনপত্রই প্রিন্ট নিতে হয়। এবং সেই ক্ষেত্রে প্রতিকপি ৫০ পেন্স করে নেয়া হয়ে থাকে। যা বাইরে কোন সাইবার ক্যাফে থেকে প্রিন্ট নিলে সর্বোচ্চ ৫ পেন্স থেক ১০ পেন্স পর্যন্ত চার্জ করে।

এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলে হাইকমিশনের ফোনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। দায়িত্বরত কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এর আগে নানু মিয়া নামে এক প্রবাসীর পাসপোর্ট অন্য আরেকজনের নামে ইস্যু করারও অভিযোগ আছে হাইকমিশনের সেই সময়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে লন্ডনের বিভিন্ন ট্রাভেল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হাই কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে নো ভিসা রিকোয়ার্ড ও আবেদনপত্রের কাজগুলো করা হয়।



পিএনএস/জে এ /

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন