বাংলাদেশে তামাক সেবনকারীদের সংখ্যা ৮ শতাংশ কমেছে

  15-08-2018 12:06AM

পিএনএস ডেস্ক :গত ৮ বছরে বাংলাদেশে তামাক সেবনকারীদের সংখ্যা ৮ শতাংশ কমেছে বলে ‘গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভে ২০১৭’ জরিপে উঠে এসেছে। জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ধূমপায়ী এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার হ্রাস পেয়েছে যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) এমন তথ্য উপস্থাপন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্বল্প পরিসরে বাংলাদেশ তামাকের ব্যবহার ৮ শতাংস হ্রাস পেয়েছে। তামাকের ব্যবহার কমার তুলনামূলক হার প্রায় ১৮ শতাংশ, যা তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের সাফল্যের স্বাক্ষর বহন করে।’

জরিপে দেখা যায়, ২০১৭ সালে দেশে তামাক সেবনকারী ১৫ ও তার চেয়ে বেশি বয়সীদের সংখ্যা ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থ্যাৎ তিন কোটি ৭৮ লাখ।

২০০৯ সালে গ্যাটসের প্রথম জরিপে এই বয়সী তামাকসেবীর সংখ্যা ছিল ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ এই বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহারকারীর হার ৮ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে।

জরিপে তামাক বর্জনের এই চিত্রে এগিয়ে আছেন পুরুষরাই; ৫৮ শতাংশ থেকে কমে এসে ৪৬ শতাংশে। অন্যদিকে নারীদের মধ্যে তামাক বর্জনের হার কমেছে সামান্যই; ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে ২৫ দশমিক ২ শতাংশ।

কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ধূমপান কমে এলেও মুখে তামাক খাওয়ার অভ্যাস এখনও কমে আসেনি নারীদের মধ্যে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে তামাক ব্যবহারকারীর হার ৩৫.৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লক্ষ)। এরমধ্যে, ধূমপায়ীর হার ১৮ শতাংশ (১ কোটি ৯২ লক্ষ) এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার ২০.৬ শতাংশ (২ কোটি ২০ লক্ষ)।

জরিপে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমান মোট জনগোষ্ঠীর ৩১ শতাংশই তরুণ। সুতরাং দেশে নতুন করে তামাক ব্যবসার সুযোগ দিলে তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের এই অর্জন নস্যাৎ হয়ে যাবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে Global Adult Tobacco Survey (GATS) ২০১৭ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), Center for Diseases Control (CDC) এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠির উপর পরিচালিত হয়েছে। এটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকিৃত জরিপ যা তামাক ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ পর্যবেক্ষণের একটি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর এই জরিপ পরিচালিত হয়।

সর্বশেষ ২০০৯ সালে এ ধরনের গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল বাংলাদেশে।


পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন