পিএনএস ডেস্ক : কোরবানি ঈদ মানেই খাওয়া দাওয়ার ধুম। তাইতো শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় মসলার দোকানগুলোতে ভিড় সবচেয়ে বেশি। কেননা ঈদের দিন মজাদার রান্নার জন্য মসলার প্রয়োজনটা সবচেয়ে বেশি। তাই এখন ক্রেতার ভিড় মসলার দোকানে।
খুচরা ও পাইকারি বাজারে মসলার দামে রয়েছে বেশ পার্থক্য। ক্রেতারা বলছেন, মসলার দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি। তবে বিক্রেতারা বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই মশলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জিরা ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, দারচিনি ৩৪০ টাকা, এলাচি ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা , লবঙ্গ ১০০ টাকা, গোলমরিচ ৮০০ টাকা, কিচমিচ ৩৮০ থেকে ৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, ভারতীয় ৪০ টাকা, রসুন ৮০ টাকা ও আদা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে ছোট এলাচ ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা কেজি, দারচিনি ৪০০ টাকা, জিরা ৪৮০ টাকা, লবঙ্গ ১৪০০ টাকা ও গোলমরিচ ১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মসলার দোকানে জিরা, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, জয়ফল, জয়ত্রি, সাহা মরিচ, কাবাবচিনি, পোস্তদানা, আদা, পেস্তাবাদাম, কিসমিসসহ বিভিন্ন প্যাকেটজাত গুড়া মসলার উপকরণের চাহিদা দেখাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়াও ঝামেলা এড়াতে কিনছেন বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত গুড়া মসলা। সহজেই অল্প সময়ে রুচিসম্মত খাবার তৈরি করে পরিবারের সবাইকে খাওয়াতে কতই না চিন্তা ঘরকন্নাদের। পাইকার মসলা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশীয় মসলার পাশাপাশি ভারতের মসলা আমদানি করতে হয়। ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে বৈধ পথে মসলা আমদানির কারণে কেজিপ্রতি মসলার দাম একটু বেশিই পড়ে যায়।
বড় বাজারের খুচরা মসলা ব্যবসায়ী কাশেম মিয়া জানিয়েছেন, সারা বছর মসলার কেনাবেচা ভালোই চলে। তবে ঈদের শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা বেড়ে যায়। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী খাবারের সব ধরনের মসলা রাখতে হয়।
পিএনএস/এএ
মসলার দোকানে ভিড় জমেছে
20-08-2018 11:19AM