কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী, কোটা বাতিলের সুপারিশে অনুমোদন

  21-09-2018 12:58PM

পিএনএস ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেওয়া কথা রাখলেন। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সুপারিশে অনুমোদন দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কোটা সংস্কার-বাতিলে পর্যালোচনা কমিটির এ সুপারিশ অনুমোদন করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ক্যাডার-নন ক্যাডার পদে কোটা প্রত্যাহার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির অন্যান্য পদগুলোতে চাকরির কোটা বহাল রাখার সুপারিশ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সচিব কমিটি। গত সোমবার সচিব কমিটির এ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। আগামী ১ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য বৈঠকে এই সুপারিশ মন্ত্রিসভার অনুমোনের জন্য উত্থাপন করা হবে।

মন্ত্রিসভা অনুমোদন করলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাহী আদেশ দিয়ে পরিবর্তিত কোটা সম্পর্কিত আদেশ জারি করবে। সাধারণভাবে আদেশ জারির তারিখ থেকে তা কার্যকর হবে।

সূত্র জানায়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ শতাংশ সংরক্ষণের জন্য যে রায় প্রদান করেছেন আপিল বিভাগ সে প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা যাবে কিনা সে বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে পরামর্শ চেয়ে গত ১৬ আগস্ট চিঠি দেন সচিব কমিটি। ২০ আগস্ট ফিরতি চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মতামত প্রেরণ করেন। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শের ভিত্তিতে তা রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সের জন্য প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি।

প্রস্তাবটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে মন্ত্রণালয় জানায়, সেটি এখন আর আপিল বিভাগের উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা নেই। এটি নির্বাহী বিভাগের আদেশ দিয়ে বাতিল, সংশোধন ও সংযোজন করা যেতে পারে। কারণ আদালতের পর্যবেক্ষণেই বিষয়টি পরিস্কার যে কোটা রাখা না রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার নির্বাহী বিভাগের। এর ওপর ভিত্তি করে সচিব কমিটি নির্বাহী আদেশ দ্বারা পরিমার্জিত আকারে কোটার বিষয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করে। এ অনুযায়ী শুধুমাত্র প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্যাডার-নন ক্যাডার পদে কোন ধরনের কোটা পদ্ধতি না রাখার আদেশ জারির সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত. সরকারি চাকরিতে প্রচলিত কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে এ বছরের ১৭ ফেরুয়ারি আন্দোলন শুরু করে। ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে দেয়া ভাষণে কোটা বাতিল করে দেয়ার ঘোষণা দেন। এরপর গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে কোটা সংস্কার -বাতিলে পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রদানের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি গত ১৭ সেপ্টেম্বর সোমবার সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি নিয়োগে প্রতিবন্ধী কোটা এক শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ কোটা, সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন