‘চউক কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়াতে হবে’

  16-02-2019 10:16PM

পিএনএস ডেস্ক : চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের গতি বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, 'কাজের গতি বাড়াতে গিয়ে যদি কোন প্রতিকূলতা থাকে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা দেওয়া হবে। তবে কোনোভাবেই কোন অজুহাতে উন্নয়ন প্রকল্প থমকে থাকবে, গতি স্তিমিত হয়ে যাবে আর চট্টগ্রামের মানুষ ভোগান্তির শিকার হবে, এর দায়ভার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বা তার কাঁধে যাবে- এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।'

মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর শনিবার প্রথমবার চট্টগ্রাম এসে চউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য গণপূর্তমন্ত্রী এসব কথা বলেন । এর আগে চউকের বাস্তবায়নাধীন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, আউটার রিং রোড প্রকল্প ও এলিভেটেড এপপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।

চউকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, 'কোনো অজুহাত শুনতে চাই না। শুধু চাই জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামকে আধুনিক, উন্নত ও পর্যটন নগরীতে পরিণত করতে হবে। সিঙ্গাপুর বা অন্য যেসব নয়নাভিরাম রাষ্ট্র আমরা পরিদর্শনে যাই, আমাদের ভ্রমণের টাকায় সেসব রাষ্ট্র চলে। তাহলে সমুদ্র তীরবর্তী চট্টগ্রামকে কেন সেভাবে গড়ে তুলতে পারব না?'
তিনি বলেন, 'চউক যেসব পরিকল্পনা নিয়েছে সেগুলো সম্পন্ন হওয়ার পর চট্টগ্রাম সারাদেশের মানুষকে আকৃষ্ট করবে। এখানে বেড়াতে আসবে।'

গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, 'মন্ত্রণালয়ের অধীন ১২টি সংস্থার মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে চউক। রাজধানীর চেয়ে বেশি ফান্ড চট্টগ্রামের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে বোঝা যায়, চট্টগ্রামের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা কত।'

সেবাসংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, সিটি করপোরেশন, সিডিএ, মন্ত্রণালয়, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ - প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কাজের পরিসর নির্ধারণ করা আছে। যার যার গণ্ডির ভেতরে থেকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।
বর্ষায় চট্টগ্রাম নগর আবারো ডুববে এক বোর্ড সদস্যের এমন আশঙ্কার জবাবে চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন,'নগরে ৫৭টি খাল রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খাল সংস্কার করা হবে। এরমধ্যে ১১টি খালের ডিটেইল ডিজাইন করতে সময় চলে গেছে। তাই বর্ষার আগে নিয়মিত কাজ বন্ধ রেখে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিয়ে খালগুলোর আবর্জনা পরিস্কার করে ফেলা হবে। এতে করে বর্ষায় আর জলাবদ্ধতা হবে না।'

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চউকের বোর্ড সদস্য ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, জসীম উদ্দিন শাহ ও স্থপতি আশিক ইমরান।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চউকের সচিব তাহেরা ফেরদৌস, প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামসসহ চউকের বোর্ড মেম্বার ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন