প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

  21-02-2019 03:51PM


পিএনএস ডেস্ক: রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭০ জন নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও অনেকে। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডে এ ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ড চোখের সামনে ঘটতে দেখেছেন অনেকেই। তাদেরই একজন ঢাকার চকবাজারে কসমেটিকসের ব্যবসা করেন ফিরোজ। তার ভাই হীরা মারা গেছে আগুনে। তার দাবি পুরো ঘটনাই তার চোখের সামনে ঘটেছে।

পুরনো ঢাকার চকবাজারের ব্যস্ত এলাকায় চুড়িহাট্টায় যে ভবনে আগুনে লেগেছে তার থেকে তিনটি বাড়ি দূরে কসমেটিকস ব্যবসায়ী ফিরোজ থাকেন। তিনি জানিয়েছেন যে আগুনে তার ভাই হীরা মারা গেছে। এছাড়া এই এলাকায় নিয়মিত যাদের সাথে আড্ডা দেই বন্ধু-বান্ধব সব মিলিয়ে অন্তত ২৫ জনের খোঁজ পাচ্ছি না। সব মৃতদেহ এখনো দেখতে পারিনি।

ফিরোজ বলেন, আগুন লাগার ঘটনাটি তিনি নিজেই দেখেছেন, কিন্তু এমন হবে তা ভাবতে পারেননি। চুড়িহাট্রার ওই কোনায় রাস্তায় একটি মাইক্রোবাস দাঁড়ানো ছিলো। উপরে ছিলো বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার। হঠাৎ ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়ে মাইক্রোবাসটিতে পড়ে। এর মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে পাশে কেমিক্যাল দোকান ছিলো সেখানে লেগে গেলে মুহুর্তের মধ্যে তা পুরোপুরি ছড়িয়ে যায়।"

ফিরোজ বলেন, সেখান থেকে প্লাস্টিকের মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়লো আরো বেশি। আর ওদিকে কেমিক্যাল মজুতে একটার পর একটা বিস্ফোরণ। এভাবে আশে পাশের ৮/১০ টা দোকান। যতই পানি মারে আরও তা বিকট হয়। ওয়াহিদ ম্যানশন, হায়দার মেডিকেল, হোটেলে আগুন লেগে যায়। বন্ধু-বান্ধব সার্কেলের ২৫ জনকে পাচ্ছি না।"

তিনি বলেন, ফার্মেসিতে থাকা লোকজন ভেবেছিল সামনে কেউ বোমা মেরেছে এবং এই ভেবে তারা দোকানের শাটার বন্ধ করে দেয়। আমার ভাই ফার্মেসির মধ্যে ছিল। শাটার বন্ধ করেছিল ভয়ে। আশঙ্কা করছি তারা ভেতরেই মারা গেছে কিনা। ভোর ৫টা পর্যন্ত টানা অপেক্ষা করেছি কিন্তু মৃতদেহ পাইনি।" সূত্র: বিবিসি বাংলা

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন