ভুল ইনজেকশনে ছাত্রী কোমায়: তদন্ত প্রতিবেদনে দুই নার্স দোষী

  27-05-2019 04:02PM

পিএনএস ডেস্ক : গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নীকে (২০) ভুল ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগে দুই নার্সকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভিন ও কুহেলিকার বিরুদ্ধে ভুল ইনজেকশন পুশ করার সত্যতা মিলেছে। এছাড়া ড. তপন কুমার মণ্ডলকে ভবিষ্যতে আরও সতর্কতার সঙ্গে কর্তব্য পালনের সুপারিশ করা হয়েছে। রোববার গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় গঠিত কমিটি।

ড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪৪ ঘণ্টা (৬ দিন) পার হলেও জ্ঞান ফেরেনি মরিয়ম সুলতানা মুন্নীর।

ডাক্তারের বরাত দিয়ে মুন্নীর বড় ভাই রুবেল হোসেন জানান, এই মুহূর্তে মুন্নীর খুবই খারাপ অবস্থা, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের বাইরে নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে মরিয়ম সুলতানা মুন্নীকে অস্ত্রোপচার করার পূর্বে দায়িত্বরত নার্স শাহনাজ পারভিন গ্যাসের ইনজেকশন (সারজেল)-এর বদলে এনেসথেসিয়া ইনজেকশন (সারভেক) প্রয়োগ করেন। মরিয়ম সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে প্রথমে খুলনার শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্র (আইসিইউ)-তে রাখা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এই ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানায় শিক্ষার্থীর চাচা জাকির হোসেন বাদী হয়ে ড. তপন কুমার মণ্ডল, নার্স শাহনাজ পারভিন ও কুহেলিকাকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন