ড্রোন সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে : বিমানমন্ত্রী

  12-09-2019 10:17PM

পিএনএস ডেস্ক : ড্রোন পরিচালনা ও আমদানির জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মোরশেদ আলমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী সংসদে এ তথ্য উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, ‘এখনো ড্রোনের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়নি। সমগ্র বিশ্বের কাছে এটি নতুন একটি আবিষ্কার। সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশসীমায় আনম্যান্ড এরিয়েল ভেহিক্যাল সিস্টেম (ইউএভি-ইউএএস), রিমোট কট্টোল বিমান অথবা খেলনা বিমান উড্ডয়ন করছে। পাশাপাশি অনুমোদিত দেশি-বিদেশি বিমান, হেলিকপ্টার এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন সামরিক বিমান চলাচল করছে। এসব বিমানের সঙ্গে অননুমোদিত উড্ডয়নকারী ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষে যেকোনো সময় আকস্মিক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ড্রোন পরিচালনা ও আমদানির বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রস্তুতের লক্ষ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (বিপম), বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তর/সংস্থা কাজ করছে, যা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।’

তিনি বলেন, ‘নীতিমালা চূড়ান্ত হলে ড্রোনের আকার, রেজিস্ট্রেশন ও উড্ডয়ন সংক্রান্ত তথ্যাদিসহ অন্যান্য বিষয়ও এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নীতিমালা প্রকাশের পর রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারের কাছে ড্রোন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে বলে আশা করা যায়। ’

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চোরাচালান বন্ধের জন্য বিমানের সকল স্থাপনায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন সাপেক্ষে সার্বক্ষণিক নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এখানে কর্মরতদের অফিসে প্রবেশ ও ত্যাগের প্রাক্কালে দেহ তল্লাশি করা হয়। অবৈধ কোনো জিনিস পেলে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ মিললে চাকরিচ্যুত করা হয়।’

সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি বেগম ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রশ্নের জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিমানকে লাভজনক করার জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অটোমেশন করা হয়েছে। যার মধ্যে পুরোপুরি অটোমেশন করা হয়েছে বিমানের টিকিট বিক্রিকরণে, বিমান অবতারণের ২০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে ব্যাগেজ বেল্টে পৌঁছানো নিশ্চিতকরণ এবং নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইটের যাত্রা নিশ্চিত করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিমানের লাভ হয়েছে ২৭২ কোটি টাকা।’

পিএনএস/মো. শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন