প্রথমে ঘাড়ে হাত, এরপর ছুরিকাঘাত করে হত্যা!

  10-11-2019 09:32PM

পিএনএস ডেস্ক : রাজধানীর হাজারীবাগে আবিদ হোসেন (২৫) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। আসামির নাম জাহিদুল ইসলাম। তাঁর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বটিকমারি গ্রামে।

হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া শনিবার
বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে আবিদ হোসেন হত্যার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আসামি জাহিদুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জাহিদুল এখন তাঁদের হেফাজতে আছেন।

গত ৬ নভেম্বর হাজারীবাগ এলাকায় রাত সাড়ে ১১টার আবিদ হোসেনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর জখম আবিদকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে আবিদ হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় আবিদ হোসেনের বড় ভাই দিদার হোসেন বাদী হয়ে জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।

এই মামলায় গ্রেপ্তার করে গতকাল শনিবার জাহিদুল ইসলামকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে দশ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আসামি জাহিদুলকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।


আদালতকে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, ৬ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে বিশেষ প্রয়োজনে নিজের বাসা থেকে বের হয়। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে গজমহল বাবুর বাড়ির ভাড়াটিয়া সায়েদ ব্যাপারীর দোকানের সামনে আসামি জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে আবিদের দেখা হয়। এ সময় আবিদের ঘাড়ে হাত রাখে জাহিদুল। তখন পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে আবিদের বুকের ওপরে, পেটে, বাম হাতসহ বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে আসামি জাহিদুল। আবিদ চিৎকার দিলে আসামি জাহিদুল পালিয়ে যায়। তখন সেখানে আসে আবিদের আত্মীয়স্বজন। রক্তাক্ত আবিদকে উদ্ধার করে প্রথমে নেওয়া হয় ঝাউচর লাইফ অ্যান্ড কেয়ার হাসপাতালে। পরে তাঁকে নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবিদ মারা যান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে জানান, আবিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার পর আসামি জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জাহিদুল আবিদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো মদদদাতা কিংবা গডফাদার আছে কিনা তা জানা দরকার।

নিহত আবিদের ভাই ও মামলার বাদী দিদার হোসেন শনিবার বলেন, তাঁর ভাইকে খুন করেছে জাহিদুল ইসলাম। কিন্তু কেন এবং কী কারণে খুন করেছে তা সুস্পষ্টভাবে জানেন না তাঁরা। পুলিশ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাঁর ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাঁদের সবাইকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছেন।

দিদার জানান, হাজারীবাগে তাঁর লেদারের ব্যবসা রয়েছে। তাঁর ছোট ভাই আবিদ তাঁকে ব্যবসায় সহযোগিতা করত। আবিদ বিদেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন