সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিবে কমিশন: ইসি

  16-01-2020 05:59PM

পিএনএস ডেস্ক:আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখে সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচনী তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিলের আবেদনে যে রায় আসবে কমিশন তা মেনে নেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এইসব কথা বলেন।

ইসির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের সবসময় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। যেকোন আইনের ব্যাখ্যা বা প্রশাসনিক কোনও কাজ যদি সিদ্ধান্ত নেয়ার পরে আদালত সেটাকে পরিবর্তন করে দেয় সে ক্ষমতা আদালতের আছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সর্বোচ্চ আদালত। সেখান থেকে যদি অন্য কোনও সিদ্ধান্ত আসে সেটা অবশ্যই কমিশন মেনে নিবে।’

শিক্ষার্থীরা আদালতের রায়ের পরেও আন্দোলন করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা আন্দোলন কেন করছেন, কারা এটি সংগঠিত করছেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য নেই। শিক্ষার্থীদের অন্য ভাবে বোঝানো হচ্ছে, আদালত যে রায় দিয়েছে তা বুঝেশুনেই দিয়েছে তা তাদেরকে বলা হচ্ছে না, যার ফলে শিক্ষার্থীরা ভুল বুঝতে পারেন। তাদের তো বয়স কম। তাদেরকে যা শিখাবে তারা তো তাই শিখবেন। তবে আমার ধারণা, তাদের এই ভুলটা বুঝতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১ তারিখে এসএসসি পরীক্ষা, মার্চ স্বাধীনতার মাস, তারপরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালনের নানারকম প্রোগ্রাম, তারপরে এপ্রিলে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, মে মাসে নির্বাচনের যত তারিখ আছে তা কোনভাবেই করা সম্ভব নয়। শিডিউল এমনভাবে দিতে হবে যে প্রার্থী প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীদের অবশ্যই কমপক্ষে ১৫ দিন প্রচারের জন্য সময় দিতে হবে। এক্ষেত্রে একদিন কম দিয়ে ১৪ দিন সময় দিলে প্রার্থীরা আবার আদালতে যেতে পারে। আদালতেও আইন এর পক্ষে রায় দেবে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে কমিশন অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত ভাবে ৩০ জানুয়ারি ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

সচিব বলেন, ‘সরকারি ক্যালেন্ডারে ২৯ তারিখ পূজার কথা বলা হয়েছে। ক্যালেন্ডার এখন তৈরি হয়নি। এটি অক্টোবরের হয়েছে এবং নভেম্বরের এটি প্রকাশ হয়েছে। সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ক্যালেন্ডার রয়েছে। তখন কেন তারা সরকারের কাছে বলেননি পূজা ২৯ তারিখ নয়, ৩০ তারিখে। আর সরকার যদি মনে করত ৩০ তারিখে পূজা তাহলে আমরাও ২৯ তারিখে নির্বাচনের সময় দিতে পারতাম। কোন সমস্যা ছিলো না। আর সরকারিভাবে ২৯ তারিখ পূজার তারিখ দেয়ার কারণে সেদিন ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না নির্বাচন কমিশনের। তাই ৩০ তারিখে নির্বাচনে তারিখ দেয়া হয়েছিল।’

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন