চীন ভ্রমণ সিদ্ধান্তে জরুরী আন্তঃমন্ত্রনালয় বৈঠকের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

  26-01-2020 08:57PM

পিএনএস ডেস্ক : স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চীন-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক গভীর। দেশর বহুসংখ্যক মানুষ বাণিজ্যিক কারনে চীনে যাতায়াত করছে। সুতরাং চীনে পাওয়া নতুন (২০১৯-হঈড়ঠ) করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে যেকোনো উপায়ে চলে এলে আমাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে আগামী ২৮ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে চীনে ও চীন থেকে বাংলাদেশে সকল ধরণের ভ্রমন সাময়িকভাবে স্থগিত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে আয়োজিত এক জরুরী বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। আলোচিত (২০১৯-হঈড়ঠ) করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশের জরুরি সতর্কতা গ্রহণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জরুরি এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশবাসীকে কোনো রকম আতংকিত না হতে অনুরোধ করেছেন এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় সম্ভাব্য সব ধরণের প্রস্তুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাতে নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন।

সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবীরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় চীন দেশে সম্প্রতি ধরা পড়া নতুন (২০১৯-হঈড়ঠ) করোনা ভাইরাস এর ব্যাপকতা নিয়ে আলোচনা হয়। রোগটি বর্তমানে কতটি দেশে পৌঁছে গেছে এবং কতজন আক্রান্ত ও মারা গেছেন সে বিষয়ে মন্ত্রী খোঁজ নেন। দেশের প্রতিটি বিমান-বন্দর, নৌ-বন্দরসমূহ, স্থল বন্দরসমূহে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফরের মহাপরিচালক স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবগত করেন। সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় জরুরি সভা করার ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন। মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে সহমত ব্যক্ত করে আগামী ২৮ জানুয়ারি বেলা ১২ টায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজনের নির্দেশ প্রদান করেন।

সভায় বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবীর জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ ধরা নাও পড়তে পারে। যেহেতু চীনে বহু সংখ্যক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। তারা সবাই এখন ফিরতে গিয়ে এই ভাইরাসের জীবানু বহন করে দেশে নিয়ে এলে তা আমাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কাজেই সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশ থেকে চীনে যাতায়াত ব্যবস্থা স্থগিতের উদ্যোগ নিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন