করোনা ভাইরাস রোধে তামাক কোম্পানি বন্ধের দাবি

  07-04-2020 11:05PM

পিএনএস ডেস্ক: বিশ্বে মরণঘাতি করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা সাড়ে ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সারাবিশ্বে মৃতের সংখ্যা এখন ৮০ হাজার ছুঁই ছুঁই। এমন পরিস্থিতিতে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থাকছে ছুটির আওতার বাইরে। যেখানে করোনা ভাইরাসে ধূমপায়ীদের আক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি। তাই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে তামাক কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) ইপসার উপ পরিচালক নাছিম বানু এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই দাবি জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যাদির প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ করা প্রয়োজন, কোন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নয়। কারণ ধূমপান করলে এমনিতেই শ্বাসনালী ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যায়। দীর্ঘদিন ধূমপানের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগের সমস্যা তৈরি হয়। যেহেতু করোনা ভাইরাসের আক্রমণে অন্যদের তুলনায় বয়স্ক এবং রোগাক্রান্তরা বেশি ঝুঁকিতে পড়েন বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তাই অন্যদের তুলনায় ধূমপায়ীরা করোনা ভাইরাসে মারাত্মক ঝুঁকিতে আছেন।

স্যান ফ্র্যানসিসকোর ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন, অধূমপায়ীদের তুলনায় করোনা ভাইরাসের ধূমপায়ীদের আক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি।

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস করোনার ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে ধূমপান পরিত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অবিলম্বে শিল্প মন্ত্রণালয়কে এমন নোটিশ প্রত্যাহার করে দেশের সকল তামাক কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে নাছিম বানু বলেন, করোনা ভাইরাস রোধে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জরুরি পরিসেবা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন ব্যতীত সকল প্রতিষ্ঠান এই ছুটির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু যেই তামাক সেবনের ফলে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি ১৪ গুণ বেড়ে যায়, সেই তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ থাকছে ছুটির আওতার বাইরে।

তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় না নিয়ে তামাকের দুই বহুজাতিক কোম্পানি ‘ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যেকো’ ও ‘জাপান টোব্যেকো ইন্টারন্যাশনাল’ কে সিগারেট উৎপাদন ও বিপণনসহ সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। গত ৩ এপ্রিল শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এক নোটিশে এ অনুমতি প্রদান করা হয়। এই পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও করোনা ভাইরাস রোধে তামাক কোম্পানিরগুলোর কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

পিএনএস/হাফিজ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন