৮৬ হাজার পরিবারে ঈদ উপহার দেবে ডিএনসিসি

  21-05-2020 08:24PM

পিএনএস ডেস্ক : ৮৬ হাজার দুস্থ ও অসহায় পরিবারকে ঈদ উপহার পাঠাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির নিজস্ব তহবিল থেকে এই উপহার পাঠানো হবে বলে জানা যায়।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক অনলাইন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

৫৪ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১৮ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরের প্রত্যেকের মাধ্যমে ১ হাজার করে মোট ৭২ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদের উপহার বিতরণ করা হবে। এছাড়া অন্যদের মাধ্যমে আরো ১৪ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ-উপহার বিতরণ করা হবে।

ঈদ-উপহারের প্রতিটি প্যাকেটে চিনি ১ কেজি, সুজি ৫০০ গ্রাম, মসুর ডাল ১ কেজি, মিনিকেট চাল ২ কেজি, ময়দা ১ কেজি ও গুঁড়া দুধ ২৫০ গ্রাম থাকবে।

যে সব পরিবার ইতোমধ্যে মানবিক সহায়তা, ওএমএস কার্ড ও অন্য কোনোভাবে ত্রাণসামগ্রী পাননি মেয়র তাদের মাঝে এসব ঈদ-উপহার বিতরণ করার নির্দেশ দেন।

কোনো পরিবারকে যেন একাধিকবার ঈদ-উপহার দেওয়া না হয় সেজন্য তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে এসব ঈদ উপহার বিতরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া করোনা ভাইরাস মোকবিলায় চলমান অন্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সভায় আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি এলাকার ১ হাজার ৮৯০টি মসজিদের ইমামদের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা এবং মুয়াজ্জিনদের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে ঈদ-উপহার ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে যেভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আমদের অক্ষরে-অক্ষরে পালন করতে হবে। দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। সব ত্রাণসামগ্রী বা ঈদ উপহার স্বচ্ছতার সঙ্গে বিতরণ করতে হবে।

মেয়র আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দুই মাস ধরে হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্য রাজস্ব আদায় বন্ধ রয়েছে। রাজস্ব আদায় বাড়াতে সম্প্রসারিত এলাকার কলকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো অবিলম্বে করের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এডিস মশা প্রতিরোধে চলমান চিরুনি অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চিরুনি অভিযান’ জনগণের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন বাসা-বাড়ি, ভবন, নির্মাণাধীন স্থাপনা ছাড়াও যে কোনো প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানেও এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন