প্রাথমিক প্যানেল প্রত্যাশীদের ওপর লাঠিচার্জ, আহত ১৫

  15-10-2020 06:26PM

পিএনএস ডেস্ক : রাজধানীর মিরপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্যানেলে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ ও জলকামান নিক্ষেপ করে অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গত ১৩ অক্টোবর থেকে প্যানেল প্রত্যাশীদের একাংশ অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

লাঠিচার্জের ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৮ জনকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে পুলিশ প্যানেল প্রত্যাশীদের উঠিয়ে দিলে পাশের একটি মসজিদে অবস্থান নেন তারা। পরে সকাল থেকে অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

২০১৮ সালের সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন, মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে সকাল ১০টার পর পুলিশের জলকামান ও লাঠিচার্জে ১৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে ৮ জনকে। তাদের মধ্যে দুই জন কানে শুনতে পাচ্ছেন না।

আন্দোলনকারীদের সমন্বয়কারী ইলিয়াছ ভুইয়া বলেন, আমরা তৃতীয়দিনের মতো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছিলাম। পুলিশ আমাদের ওপর অযথা লাঠিচার্জ করেছে। এতে আমাদের কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। তারা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে থেকে সরিয়ে দিলেও আমরা রাজধানী ছাড়বো না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে।

আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের পরে আমরা এ প্রথম একটি নিয়োগ পেয়েছি। আমাদের অনেকের চাকরির বয়স শেষ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন আবেদনের সুযোগ নেই। তাছাড়া আমরা সবাই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করেছি। সুতরাং আমাদের বাদ দিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি অমানবিক।

আন্দোলনকারীদের প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে অনেক নিবেদন করেও ফল না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছি। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার পরও শূন্য পদে তাদের নিয়োগ না দিয়ে কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করেছে।

তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

২০১৮ সালের সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল প্রত্যাশীরা জানান, ২০১৮ সালের নিয়মিত শিক্ষক বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে আবেদন করেন ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৭ জন। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন।
শূন্যপদ বাকি রেখেই নিয়োগ দেয়া হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ১৪৮ জন প্যানেলভুক্তির অপেক্ষায় থাকলেও তাদের বিষয়ে কোনো বিবেচনা করা হয়নি।

অন্যদিকে, ২০১৪ সালে স্থগিত করা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯ হাজার ৭৮৮ জন প্যানেলে নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে রাজধানীসহ জেলায় জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে। সংসদ সদস্যদের ডিও নিয়ে মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আবেদন জানান তারা।

পিএনএস/এসআইআর


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন