পিএনএস ডেস্ক: উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত। জেলায় সোমবার (২৩ নভেম্বর) বছরের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হঠাৎ জেঁকে বসা শীতে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতে দিন-মুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছে। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উদিত হলেও কমছে না শীতের প্রকোপ। শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে কুড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিকেল থেকে রাত গড়িয়ে সকাল পর্যন্ত ধান, ঘাষ, ফুল, লতা-পাতা, গুল্ম শিশিরে ভেজা থাকছে। সূর্যের আলোয় ঝিলিক মারছে শিশির ফোটা। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা থেকে জেঁকে বসে কনকনে শীত। কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা।
ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগী সংখ্যা। হঠাৎ শীতে শ্রমজীবী মানষের বেড়েছে চরম দুর্দশা। ঠান্ডার কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না তারা। হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এদিকে শীত মোকাবিলায় দিনাজপুরে জেলা প্রশাসক ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতোমধ্যে জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রতিটি (১০২টি) ইউনিয়নে ৪৬০টি করে কম্বল এবং একহাজার পিস শুকনো খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো.মাহমুদুল আলম। তিনি জানান, শীত মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত চাহিদাপত্রের অর্ধেক শীতবন্ত্র কম্বল ৫৩ হাজার পিস ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। এছাড়াও বেসরকারিভাবেও শীত নিবারণের পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় যানবাহন চালাতে হচ্ছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। এদিকে দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, দিনাজপুরে আজ সোমবার বছরের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রর্তা ৯৪। ২/৩ দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শীতের প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ এই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের দাবি তুলেছে।
পিএনএস/এএ
উত্তরে জেঁকে বসেছে শীত
23-11-2020 11:58AM