কতটুকু পড়ালেখা রফিকুল ইসলাম মাদানীর?

  09-04-2021 04:03PM


পিএনএস ডেস্ক: ঢাকায় সম্প্রতি মোদিবিরোধী বিক্ষোভে আটকের পর নতুন করে আলোচনায় আসেন ইন্টারনেট দুনিয়ায় ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রফিকুল ইসলাম মাদানী। সেসময় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপর রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্যের দায়ে আটক হন তিনি। গত বুধবার নেত্রকোনোয় নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব।

এরপর উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। এই মামরায় আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তারর কণ্ঠ, শারীরিক গঠন ও মুখাবয়বের কারণে তাকে কম বয়েসী ছেলেদের মতো মনে হয়। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, ১৯৯৪ সালে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় তার জন্ম। সে হিসাবে তার বর্তমান বয়স ২৭ বছর।

রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনার একটি মাদ্রাসা থেকে কোরআনে হাফেজ হওয়ার পর ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে কয়েক বছর পড়াশোনা শেষে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে একটি মাদ্রাসায় চলে আসেন। পরে সেখান থেকে ঢাকার বারিধারা এলাকায় অবস্থিত একটি মাদ্রাসা থেকে তিনি দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমানের) সম্পন্ন করেন।

জানা গেছে, ১৪-১৫ বছর বয়স থেকেই রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় ওয়াজ করতেন। তখন থেকেই তিনি আঞ্চলিকভাবে পরিচিত হয়ে উঠেন। কয়েক বছরের মধ্যেই নেত্রকোনার আশপাশের জেলাগুলোতে তার পরিচিতি গড়ে উঠে। গত কয়েক বছরের মধ্যে রফিকুল ইসলাম মাদানী জাতীয়ভাবে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছেন।

গাজীপুরের বাড়িয়ালীতে রফিকুল ইসলাম মাদনীর একটি মাদ্রাসা রয়েছে। বাড়িয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে অবস্থিত ওই মাদ্রাসার নাম মারকাজুন নুর আল ইসলামিয়া। হাফেজ রফিকুল ইসলাম মাদানী ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও পরিচালক।

এক বছর আগে কালীগঞ্জের নাগরিক এক প্রবাসীর বাড়ি ভাড়া নিয়ে মাদানী ওই মাদ্রাসাটি চালু করেন। মাদ্রাসাটিতে নুরানী মক্তব, নাযেরা, হিফজ বিভাগ ছাড়াও প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করানো হয়।

রফিকুল ইসলামের চার ভাই ও তিন বোন।

মাদানী টাইটেল কেন?
তার প্রকৃত নাম রফিকুল ইসলাম হলেও নামের শেষে টাইটেল বা পদবী হিসেবে ‌‘মাদানী’ ব্যবহার করা হয়। ঢাকার বারিধারা এলাকায় অবস্থিত জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমানের) ডিগ্রি লাভের পর তিনি নামের শেষে ‘মাদানী’ টাইটেল যুক্ত করেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘মাদানী’ উপাধি ব্যবহার না করার রফিকুল ইসলামকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এ নোটিশটি পাঠিয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের মদিনা শাখার আমির ও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য। তার নামও রফিকুল ইসলাম।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, সৌদি আরবে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা না করেও ‘মাদানী’ উপাধি ব্যবহার করছেন রফিকুল ইসলাম।

লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর পরে একটি অনুষ্ঠানে রফিকুল ইসলাম বলেন, মদিনা থেকে পড়াশোনা করলেই যে শুধু ‘মাদানী’ উপাধি ব্যবহার করা যাবে বিষয়টি সে রকম নয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন