দ্বিতীয় ডোজে অন্য টিকার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  24-06-2021 07:51PM

পিএনএস ডেস্ক : করোনা প্রতিরোধে দেশে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা প্রয়োগ চলমান। তবে টিকা স্বল্পতার কারণে বেশিরভাগ কেন্দ্রে প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজও বন্ধ রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের প্রায় ১৫ লাখ টিকার ঘাটতি রয়েছে। এ টিকা বিভিন্ন দেশ থেকে আনার জোর প্রচেষ্টা চলছে। পাশাপাশি অন্য কোনো টিকার মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজ পূর্ণ করার ব্যাপারেও ভাবছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন, অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

তিনি বলেন, অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বেও রয়েছে। টিকার বিষয়ে অনেক দেশই আমাদের আশ্বাসের মধ্যে রেখেছে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত টিকা আমাদের হাতে না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

রোবেদ আমিন বলেন, অক্সফোর্ডের যে টিকা রয়েছে, সেটি হলো ভেক্টর ভ্যাকসিন। এমন টিকা আরও অনেক প্রতিষ্ঠানেরই রয়েছে। যেমন- রুশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি টিকা, চাইনিজ বায়োফর্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ক্যানসাইনোর একটি টিকা, যুক্তরাষ্ট্রের জনসন অ্যান্ড জনসনের একই ধরনের টিকা। সুতরাং এই ধরনের বিকল্প টিকাও যদি আমরা পেয়ে যাই, তাহলেও দেশে দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি হওয়া টিকার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আলাদা বৈঠক করেছেন। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়া প্রিফন্টেইনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দ্বিতীয় ডোজের জন্য উভয় দেশের কাছে জরুরিভাবে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কাছে বিপুল পরিমাণ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা মজুত রয়েছে। এই টিকা তারা করোনায় সবচেয়ে ভুক্তভোগী দেশগুলোকে দিতে চায়। তবে বাংলাদেশ সেভাবে ভুক্তভোগী দেশ না হলেও এই দুই দেশ থেকে টিকা আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, কোভিশিল্ড টিকার জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বেক্সিমকোর মাধ্যমে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। ৬ মাসের মধ্যে ৩ কোটি টিকা আনার চুক্তি হয়েছিল। গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত থেকে দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাওয়া গেছে ৩২ লাখ ডোজ। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ টিকা হাতে পেয়েছে মোট ১ কোটি ২ লাখ ডোজ।

পিএনএস/এসআইআর

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন