আ.লীগের সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেলেন খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল!

  18-10-2016 10:51AM

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আওয়ামী লীগের আসন্ন ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অভ্যর্থনা উপকমিটির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

অভ্যর্থনা উপকমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আগেই জানিয়েছিলেন, অসাম্প্রদায়িক মনন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশের সকল রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের প্রথম দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

এরই মধ্যে অভ্যর্থনা উপকমিটি একমাত্র জামায়াতে ইসলামী ছাড়া দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ দুই নেতা সভাপতি/চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক/মহাসচিবকে আমন্ত্রণ পত্র পৌছে দিয়েছে।

অভ্যর্থনা উপকমিটি সূত্রে জানা গেছে, ১০ম জাতীয় সংসদের বাইরে থাকলেও দেশের অন্যতম একটি বড় দল হিসেব বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সম্মেলনের সম্মানিত অতিথি হিসেবে দাওয়াতপত্র পাঠানো হয়েছে। একইভাবে জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাদস) হাসানুল হক ইনু এবং শরিফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন দুই অংশ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, জাতীয় পার্টি (জেপি), গণতান্ত্রিক দল, গণআজাদী লীগ, ত্বরিকত ফেডারেশন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিসহ (ন্যাপ) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত প্রায় সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাই আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সম্মানিত অতিথি হিসেবে দাওয়াত পেয়েছেন।

অভ্যর্থনা উপকমিটির সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেন বলেন, দলের জাতীয় সম্মেলনে ১৪ দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। বিএনপিকেও দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই, তারা আসুক। এসে আমাদের বিজয়ের কথা এবং তাদের চক্রান্তের কথা নিজেরাই শুনুক।

দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, বাংলাদেশের বাইরের প্রায় ১৫টি দেশের একাধিক রাজনৈতিক দলকে আওয়াম লীগের জাতীয় সম্মেলনে দাওয়াত করা হয়েছে। এর মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, বেলজিয়াম, জাপান, রাশিয়া, চিন, ক্রোয়েশিয়া, মালয়েশিয়া, জার্মানি উল্লেখযোগ্য। ভারতের শুধু কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক দলগুলোকেই নয় প্রাদেশিক শক্তিশালী দলগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রায় প্রতিটি দেশের একের অধিক রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কোনো কারণে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা আসতে না পারলে তাদের প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে আমন্ত্রণপত্রে।

ডা. দীপু মনি আরো বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার স্বনামধন্য প্রায় দেড় হাজার বিশিষ্ট নাগরিককে আমরা সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। বিদেশি অতিথিদের অনেকেই ইতোমধ্যে আসবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। বাকিরা সম্মেলনের আগে নিশ্চিত করবেন বলে আমরা আশা করছি।

দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পেয়েছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে যোগদানের দাওয়াত। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, হুইপগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলররাও আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের দাওয়াত পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি আমলাসহ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানকে দাওয়াতের আওতায় রাখা হয়নি।

আগামী ২২-২৩ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন। এরই মধ্যে সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলন সফল ও বর্ণিল আনন্দময় করার লক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে দিনরাত বিরামহীনভাবে কাজ করছেন।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন