বিদায়ের সুর আওয়ামী লীগে

  19-10-2016 09:35AM



পিএনএস: আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের শেষ বৈঠক আজ বুধবার বিকেলে। একদিন বাদেই নতুন সম্মেলন। শেষবেলায় এসে বেড়ে গেছে নেতাদের হৃদস্পন্দন। পদ প্রত্যাশী বর্তমান কমিটি ও কমিটির বাইরের নেতা, সাবেক আওয়ামী লীগ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের বুকে কাঁপন ধরেছে। তাদের হাঁটা-চলা, কথা-বার্তায়ও এ ছাপ স্পষ্ট। কেউ কোনো কথা বলছেন না। সবার কথা একটাই সব নেত্রী জানেন। তবে টানা সাত বছর দায়িত্ব পালন করা অনেকেই ঝরে পড়তে পারেন দল থেকে।

নেতাদের ভরসা ও আস্থার জায়গা দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সজীব ওয়াজেদ জয় ও রেদওয়ান সিদ্দিক ববির আগমনী বার্তা এবং প্রধানমন্ত্রী নিজেই অব্যাহতি চাওয়ার প্রস্তাবে চাপা পড়েছে সাধারণ সম্পাদক নিয়ে আলোচনা। এদিকে শেষ বেলায় সবাই যার যার আমলনামার হিসাব-নিকাশ করে রাজনীতির কঠিন অঙ্ক কষতে কষতে সময় পার করছেন।

এবারের সম্মেলনটিকে দলের নেতারা দেখছেন আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দুটি হেভিওয়েট সভায় নিজের না থাকার প্রস্তাব দিয়েছেন। একটি ছিল জাতিসংঘ ফেরত সংবাদ সম্মেলন- যেখানে দেশবাসীর তীক্ষ্ণ নজর ছিল। অপরটি, বিভিন্ন জেলার প্রবীণ নেতা, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের নিয়ে গঠিত দলের জাতীয় কমিটির বৈঠক।

দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংযুক্ত থেকে কাজ করেছেন, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এক নেতা ও এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ‘মিন’ করেই অব্যাহতি চেয়েছেন। এবার অব্যাহতি না নিলেও; ভবিষ্যতে যেকোনো সময় অব্যাহতি নেয়ার দ্বারটি উম্মুক্ত রাখলেন তিনি। সেজন্য আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনের মাইলফলক হতে পারে এবারের সম্মেলন। এ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নতুন ‘চারাগাছ’ রোপণ করতে পারেন বহুধা বিভক্ত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে মহীরুহে পরিণত করা শেখ হাসিনা। এ কারণেই আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের চিন্তার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটিতে দক্ষতা ও মেধার সন্নিবেশ ঘটানোও সময়ের দাবি মনে করছেন দলীয় নেতারা। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। এ কারণে শেখ হাসিনার সঙ্গে সঙ্গে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের গুরুত্বও বাড়ছে বিশ্ব পরিমণ্ডলে। আর প্রধানমন্ত্রীর অভূত সব অর্জনকে ধারণও করছে আওয়ামী লীগ। ঘোষণাপত্রে তা যোগ করা হয়েছে।

এদিকে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি বর্তমান ৭৩ সদস্যের কমিটির আকার বাড়িয়ে ৮১ সদস্য করার প্রস্তাব প্রস্তুত করছে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এটি চূড়ান্ত করে পাস করবে। গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির এক সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী কমিটির আকার বেশি বাড়ানোর পক্ষে নন। প্রস্তাবিত ৮১ সদস্যের কমিটিকে কমিয়ে ৭৮ বা ৭৯ সদস্যের করা হতে পারে।

বর্তমান কমিটির সঙ্গে চারটি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, একটি করে যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদক, দুটি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নতুন সংযোজনের প্রস্তাব থাকছে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির। সে হিসেবে সাবেক ছাত্রনেতা যারা পদপ্রত্যাশী, তাদের অপেক্ষা দীর্ঘতর হতে পারে।

যা থাকছে ঘোষণাপত্রে: দলীয় রাজনীতির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মকৌশল নির্ধারণে সম্মেলনের ঘোষণাপত্র প্রণীত হয়। উন্নয়নমুখী রাজনীতিতে এবারের সম্মেলনে আওয়ামী লীগ ৪৬ পৃষ্ঠার ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করেছে। এতে থাকছে চারটি অধ্যায়। প্রথম অধ্যায়ে প্রস্তাবনা এতে থাকছে বাংলাদেশ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ভূমিকা। দ্বিতীয় অধ্যায়ে ঘোষণা ও কর্মসূচি- এখানে নির্বাচনী ইশতিহারের আদলে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দর্শন তুলে ধরা হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে উন্নয়ন ও সুশাসনের সাত অগ্রাধিকার। যেখানে রয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও আইসিটি। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার অবসান, বেসরকারি খাত ও বাজার ব্যবস্থার সম্প্রসারণের মতো বিষয়গুলো। চতুর্থ অধ্যায়ে-খাতওয়ারি চলমান অগ্রযাত্রা শিরোনামে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের ফিরিস্তি রয়েছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন সময়কে ক্রান্তিকাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে ঘোষণাপত্রে। বলা হয়েছে, গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার এ ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠায় এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে।

ব্ল–-ইকোনমি-সমুদ্র সম্পদভিক্তিক উন্নয়ন: আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দর্শনে এবার নতুন যুক্ত হয়েছে ব্ল–-ইকোনমি। ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনার কূটনৈতিক সাফল্যের সুবর্ণ ফসল মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি। এর ফলে মিয়ানমারের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের ২০০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে সমুদয় অর্থনৈতিক অঞ্চল ও তার বাইরে মহাদেশীয় বেষ্টনী এবং একইভাবে ভারতের সঙ্গে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহাদেশীয় বেষ্টনীর মধ্যে সব ধরনের সম্পদের ওপর বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সমুদ্রখাত, যা ব্লু-ইকোনমি নামে অভিহিত, বাংলাদেশের উন্নয়নে এক নতুন দিগন্ত উম্মোচন করেছে। সমুদ্রবন্দর, জাহাজ নির্মাণ, নৌ চলাচল, সাগরে মৎস্য চাষ, জলজ উদ্ভিদ, তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ আহরণ, সমুদ্রে জেগে ওঠা নতুন চর, সামুদ্রিক পর্যটন শিল্প ইত্যাদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন সুবিস্তৃত ও সুসংহত করার উদ্যোগকে দর্শন হিসেবে গ্রহণ করেছে।’

পশ্চিমে উন্নয়ন সহযোগিতার সম্পর্ক, চীন-রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক: ঘোষণাপত্রের শেষের দিকে পররাষ্ট্রনীতি অংশে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও কানাডাসহ উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার ও ব্যাপকভাবে বিস্তৃত করা হবে। রাশিয়া, চীন এবং আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক সুদৃঢ় করা হবে। বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার সঙ্গে অধিকতর যোগাযোগ ও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হবে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে ফলপ্রসূ সম্পর্ক স্থাপনে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘সৌদি আরব, মিসর, প্যালেস্টাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ এবং তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের মুসলিম দেশসমূহের সঙ্গে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক এবং উন্নয়ন ও সহযোগিতার ক্ষেত্র জোরদার করা হবে। মুসলিম উম্মাহর সংহতি এবং ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) কাঠামোয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সহযোগিতা জোরদার করা হবে।’

আফ্রিকার দেশগুলোর সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আফ্রিকার আরব রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে স্থাপন করা হবে অর্থবহ সম্পর্ক। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সাহারার দক্ষিণস্থ রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিকাশ এবং সেসব দেশে দারিদ্র্য বিমোচন এবং মানুষের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করবে।

শেখ হাসিনার দুটি শান্তির মডেল আওয়ামী লীগের দর্শন: ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘বিশ্ব শান্তি, জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের মডেল’ শীর্ষক তার ধারণা এবং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তার এই মডেল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সব সদস্য রাষ্ট্র সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও তার এই মডেলকে দলের দর্শন হিসেবে গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত শেখ হাসিনার এই মডেলের মূল রূপরেখাটি হলোÑ দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণ; বৈষম্য হ্রাস; বঞ্চনার উপশম; মানবসম্পদ উন্নয়ন; প্রান্তজনকে মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা; সবার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সুসঙ্গতভাবে সব ধরনের সন্ত্রাস দমন।

প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি শান্তির মডেল নিয়ে আওয়ামী লীগ কাজ করবে বলে উল্লেখ করা হয় ঘোষণাপত্রে। বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা মুক্ত এবং পশ্চাৎপদ জাতিসমূহের উন্নয়ন অনুকূল একটি শান্তির মডেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে উত্থাপন করেছেন। ৬৫টি দেশ এই মডেলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। বিশ্বের জাতিসমূহের অধিকতর সমর্থন আদায় ও শান্তির মডেল বাস্তবায়নে গ্রহণ করা হবে বহুমুখী কূটনৈতিক উদ্যোগ।’

নতুন মুখ আসছে সভাপতিমণ্ডলীতে: নতুন চারটি সভাপতিমণ্ডলীর পদ সৃষ্টি হচ্ছে, সেই সঙ্গে বয়স বিবেচনায় আরো দু’-একজন বাদ পড়তে পারেন এ ফোরাম থেকে। সে হিসাবে অন্তত ছয়টি নতুন মুখ দেখা যেতে পারে সভাপতিমণ্ডলীতে। এর মধ্যে আলোচনায় আছেন সাবেক ছাত্রনেতা, পঁচাত্তরের ট্র্যাজেডির বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদকারীদের অন্যতম, কেন্দ্রীয় নেতা র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী। হজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তার জায়গায় দেখা যেতে পারে একই জেলার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ড. আবদুর রাজ্জাককে। সিটি নির্বাচনে প্রচারণা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনে নেতৃত্ব দিয়ে রাজনীতির ভরকেন্দ্রে চলে আসেন কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক কর্নেল (অব.) ফারুক খান। গোপালগঞ্জ থেকে নির্বাচিত এমপি ও সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানকেও দেখা যেতে পারে সভাপতিমণ্ডলীতে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঘনিষ্ঠ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ও বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনিও পদোন্নতি পেয়ে সভাপতিমণ্ডলীতে জায়গা করে নিতে পারেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে তার রানিংমেট হিসেবে পরিচিত মাহবুবউল আলম হানিফ আবারো যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে পারেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসলে হানিফের জায়গা হতে পারে সভাপতিমণ্ডলীতে। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায় বার্ধক্যের কারণে বাদ পড়লে তার জায়গায় আসার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ দুই-তিন জন নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া বাকি ছয়টিতেই নতুন মুখ হিসেবে সাবেক ছাত্রনেতাদের আসার সম্ভাবনা প্রবল। ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে সাবেক ক্রিকেটার নাঈমুর রহমান দুর্জয়, শ্রম সম্পাদক হিসেবে শ্রমিক নেতা ইসরাফিল আলমকে দেখা যেতে পারে। এছাড়া সাবেক ছাত্রনেতাদের কয়েক জন আসবেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়ে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন