দীর্ঘদিন পর বিএনপির কর্মসূচি

  20-10-2016 09:38AM

পিএনএস ডেস্ক: আগামী ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে’কেন্দ্র করে মাঠের কর্মসূচিতে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। এ উপলক্ষে আগামীকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে দিবসটি উপলক্ষে জনসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

জানা গেছে, ৭ নভেম্বরের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পরে বিএনপির মাঠের কর্মসূচির সূত্রপাত ঘটতে যাচ্ছে। এরপর পর্যায়ক্রমে সারাদেশে সমাবেশ করবেন বিএনপি প্রধান। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে জনমত গঠন ও নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

বিএনপি নেতারা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাজা দেওয়ার প্রচেষ্টার প্রতিবাদ ও ৫ জানুয়ারির মতো আবারো একটি সাজানো বা পাতানো নির্বাচনের আশঙ্কাসহ নানা ইস্যুর দিকেই থাকছে কর্মসূচির মূল ফোকাস। এরইমধ্যে খালেদা জিয়ার নির্দেশনা তৃণমূলে পৌঁছে গেছে। ফলে দ্রুত তৃণমূলের কমিটিগুলো পুনর্গঠনের কাজ শেষ করার ওপর জোর দিয়েছেন দায়িত্বশীলরা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান এ বিষয়ে বলেছেন, আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। চলমান আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আমরা দল পুনর্গঠন করছি। শিগগিরই কর্মসূচি আসছে, তা দেশের মানুষ দেখতে পাবে।

তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনকারী মাঠের বিরোধী দল বিএনপি আগামী নির্বাচন নিয়ে ‘কট্টর’কোনো অবস্থানে নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি পূরণ না হওয়ায় ওই নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনে নেমেছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি সব ধরনের পরিকল্পনা করছে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সরকারকে বাধ্য করার বিষয়ে। এ লক্ষ্যে জনমত সৃষ্টি করতে আন্দোলনের মাঠে নামার কথা ভাবা হচ্ছে। খালেদা জিয়া নিজেই মাঠে থেকে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন। এর অংশ হিসেবে নভেম্বর থেকে বিভিন্ন স্থানে জনসভা শুরু হবে।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন