আ.লীগকে টানা ৩৫ বছর নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা

  22-10-2016 12:02PM

পিএনএস ডেস্ক: নানা উত্থান-পতন আর ঘটনা বহুল ৬৭ বছরের ইতিহাসে অর্ধেকেরও বেশি সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলেছে আওয়ামী লীগ। শুরুর দিকে মাত্র আট বছর দলের কাণ্ডারি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য নেতৃত্বে আনন্দ-বেদনার ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ পরিণত হয় দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলে।

আওয়ামীলীগের জম্ম ১৯৪৯ সালে প্রবীন জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে। প্রথম সম্মেলনে মাওলানা ভাসানী সভাপতি হলেও শেখ মুজিবর বহমানকে দেয়া হয় যুগ্ম সম্পাদকের পদ। তখন দলের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ।

দলের দ্বিতীয় সম্মেলন হয় চার বছর পর ১৯৫৩ সালে। এবার সাধারন সম্পাদক হন শেখ মুজিব। সভাপতি পদে থাকে যান মাওলানা ভাসানী।

১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সম্মেলনে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। আর নীতিগত কিছু বিরোধের কারণে ১৯৫৭ সালে দল ছাড়েন মাওলানা ভাসানী।

সে বছরেই আরমানিটোলার নিউ পিকচার হাউসে মাওলানাকে বাদ দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগের চতুর্থ সম্মেলন। এতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশকে। আর সাধারন সম্পাদক শেখ মুজিবই।
দলের ৬ষ্ঠ সম্মেলনে সভাপতি হন শেখ মুজিব ১৯৬৬ সালে। তাজউদ্দিন আহমেদ হন সাধারণ সম্পাদক। স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন ছিলো নানাকারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন দলের নেতারা।

স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের প্রথম সম্মেলন হয় ১৯৭২ সালে যেটি ছিল দলের নবম সম্মেলন। এবার তাজউদ্দিন আহমেদের পরিবর্তে সাধারণ সম্পাদক হন জিল্লুর রহমান।

১৯৭৪ সালের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হয় সরকার প্রধান হওয়ার কারণে। ফলে এ এইচ এম কামারুজ্জামান সভাপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদকে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন দলের দশম সম্মেলনে।
অভিযোগ আছে আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বশূণ্য করতে ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং জাতীয় চার নেতা খুনের মতো জঘন্য ঘটনাও ঘটায় ১৯৭৫ সালে। সেই সময় দলে নানা সংকট সৃষ্টি হয় ঠিকই কিন্তু নেতৃত্বশূণ্য হয়নি দল।

১৯৭৬ সালে দল পুনরুজ্জীবনের পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন মহিউদ্দীন আহমেদ। আর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে।

১৯৭৭ সালে একাদশ সম্মেলনে সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিনকে প্রধান করে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরের বছর আব্দুল মালেক উকিল সভাপতি এবং আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক হন।

১৯৮১ সালের ১৩ তম সম্মেলনে পুনজাগরণ ঘটে আওয়ামী লীগে। হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণের এই সম্মলনে বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনাকে সভাপতি করা হয় আব্দুর রাজ্জাকই থেকে যান সাধারণ সম্পাদকের পদে ।

এর পরের ছয়টি সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি থাকলেও পরিবর্তন হন সাধারণ সম্পাদক। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর আবদুল জলিল একবার করে এবং জিল্লুর রহমান এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দুইবার করে ছিলেন দলের সাধারন সম্পাদক।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন