ক্ষোভ বুকেই চেপে রাখলেন তৃণমূল নেতারা

  24-10-2016 08:00AM



পিএনএস ডেস্ক: ক্ষোভ বুকেই চেপে রাখলেন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতারা। কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর আগে তাদের বার্তা দেয়া হয় যেন কেউ এমন বক্তব্য না দেন যার কারণে সম্মেলনে বিশৃংখল পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তবে তৃণমূলের নেতারা তাদের লিখিত সাংগঠনিক রিপোর্টে এমপিদের বিরুদ্ধে অভিযোগসহ নানা ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন।

রীতি অনুযায়ী সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন রুদ্ধদ্বার হলেও এই প্রথম কাউন্সিল অধিবেশনের বক্তব্য বাইরে অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদের মাইকের মাধ্যমে শোনার ব্যবস্থা করা হয়। রোববার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পান তৃণমূলের নেতারা। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অধিবেশনে ৪১ জন তৃণমূল নেতা বক্তব্য দেন। তবে এদের সবাই জেলা কমিটির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক।

এদের মধ্যে গাজীপুর মহানগর সভাপতি আজমত উল্লাহ খান কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘অনেকে অনেককে অনেকভাবে সাইজ করেছেন। দয়া করে সাইজ করা বন্ধ করেন, না হয় গণেশ উল্টে গিয়ে নিজেরাই সাইজ হয়ে যাবেন। কেউ দলের বিপক্ষে যাবেন না। নৌকা প্রতীক বাদ দিয়ে আসেন, জয়ী হওয়া দূরের কথা পরাজিত হওয়াটাই দুষ্কর হয়ে যাবে, জামানত নিয়ে টানাটানি পড়বে।’

যশোর জেলা সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময় দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচার ও কাজ করার অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল, তাদের সবাইকে জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে মাফ করা হয়েছে। তাদের কীভাবে মাফ করা হয়েছে তা পরিষ্কার করতে হবে। তারা কী স্বপদেই মাপ পাবেন না কি প্রাথমিক সদস্য পদে থাকবেন, তা স্পষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে। এছাড়া যারা নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

এদিনও কাউন্সিলরা দলের সভাপতি পদে শেখ হাসিনাকেই দায়িত্ব নেয়ার দাবি জানান। কেউ কেউ তাকে আজীবন সভাপতি হিসেবে থাকার অনুরোধ করেন। আর সবাই শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানজনক পদে বসানোর দাবি জানান।

ভোলা জেলা সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা বঙ্গবন্ধুর নামে একটি ‘জাতীয় চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা ও দলের সেরা সংগঠকদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু পদক’ চালুর দাবি জানান।

এছাড়া রোববার আরও বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, জামালপুর জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ, কক্সবাজার জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমেদ, পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, ঠাকুরগাঁও জেলা সাধারণ সম্পাদক সাদেক কোরাইশী, টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি মজিবুর রহমান ফারুক, রাজশাহী জেলা সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মাদারীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মতিউর রহমান, রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি দীপংকর তালুকদার, লক্ষ্মীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুদ্দিন চৌধুরী নয়ন, মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, চাঁদপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, লালমনিরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, নীলফামারী জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল ইসলাম, গাইবান্ধা সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামসুল আলম হিরু, কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি সদর উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, শেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল এবং সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মনসুর আহমেদ।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন