সেই লতিফ সিদ্দিকীর সময় কাটে বই পড়ে

  08-12-2016 09:32AM


পিএনএস ডেস্ক: এক সময়ের ব্যস্ত মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর এখন সময় কাটে বই পড়ে ও লেখালেখি করে। প্রতিমাসে তিন-চারদিন করে তিনি নির্বাচনী এলাকায় আসেন, খোঁজখবর নেন কর্মী সমর্থকদের।

এছাড়া তার প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেখভাল করেন। তার বাকি সময় কাটে ঢাকার বাসায়। সেখানে তিনি স্ত্রী সাবেক এমপি বেগম লায়লা সিদ্দিকী ও একমাত্র ছেলে অনীক সিদ্দিকী বাপ্পীর সঙ্গেই বসবাস করছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে টাঙ্গাইল সমিতির সভায় পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করায় বিভিন্ন জেলায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। লতিফ সিদ্দিকী দেশে ফেরার পর পরই ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল তার গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে নামে। দাবি উঠে তাকে মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের। পরে সরকার তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে নেন। ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়। পরে জাতীয় সংসদ সদস্য পদও হারান এই নেতা। ওই বছরই ২৬ নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন লতিফ সিদ্দিকী। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি আগেও যেমন ব্যস্ত ছিলাম এখনো তেমন ব্যস্ত সময় পার করছি। বই পড়ে, লেখালেখি করে। জানা গেছে, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তার জন্মস্থান কালিহাতীতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ নির্মাণ করেছেন। ছাতিহাটী জামে মসজিদ, আউলিয়াবাদ আলাউদ্দিন সিদ্দিকী মহাবিদ্যালয়, আউলিয়াবাদ করিমুন নেছা বিদ্যালয়, শহীদ জামাল উচ্চবিদ্যালয় তার মধ্যে অন্যতম। তার রাজনৈতিক জীবনে কালিহাতীর কর্মী সমর্থকরা সব সময় প্রেরণা ও উৎসাহী হয়ে কাজ করেছেন।

তার দুর্দিনেও কর্মী সমর্থকরা দূরে সরে যাননি। লতিফ সিদ্দিকীও নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের খোঁজখবর রাখেন। বিপদে-আপদে পাশে গিয়ে দাঁড়ান। কে হারাতে চায় এমন নেতাকে একস্বরে বললেন অনেকেই। লতিফ সিদ্দিকী পারিবারিক সব অনুষ্ঠানেই যোগ দেন। তবে রাজনৈতিক মতাদর্শে এখনো অটল। তিনি নিজেকে এখনো আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী মনে করেন বলে তার সমর্থকরা জানান। কালিহাতী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠাণ্ডু বলেন, লতিফ সিদ্দিকী এখন আওয়ামী লীগের কেউ নন এবং জনপ্রতিনিধিও নন। তিনি এখন লেখাপড়া ও ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। দলীয়ভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে তার শরীর কেমন আছে এ খোঁজখবর নেওয়া হয়।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন