খালেদার বিরুদ্ধে রায় হবে ‘হাসিনা মনোনীত’: রিজভী

  20-02-2017 04:24PM

পিএনএস ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় যে রায় হবে সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত এবং রায়ে তাঁর ইচ্ছের প্রতিফলন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী।

সম্প্রতি জার্মানির মিউনিখে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এমনটিই ফুটে ওঠেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (২০ ফেব্রয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার হলরুমে সংবাদিক চন্দন রহমানের ছড়ার বই ‘খোঁচা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে 'লাবনী প্রকাশনী'।

রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হিংসাশ্রয়ী, প্রতিহিংসার মামলা এটা সবাই জানে। কিন্তু তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) উদ্দেশ্য ভিন্ন। তিনি মিউনিখ (জার্মানির মিউনিখ) থেকে বললেন, এই মামলায় যা হওয়ার তাই হবে। মানে তিনি অন্যরকম ইঙ্গিত দিচ্ছেন, অর্থাৎ উনি যে আদালতকে প্রভাবিত করেন, করতে পারেন এবং ভবিষতে প্রভাবিত করবেন এটা উনার বক্তব্যে প্রমাণিত।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে কোনো আদালতই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন না। আর সেখানে যদি বিরোধীদলের মামলা বা অভিযোগ থাকে সেগুলো আ.লীগেরই করা। সেটার যে রায় সেটাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত রায়।

রিজভী বলেন, ‘দালত কী রায় দেবেন সেটা আদালতের বিচারিক প্রক্রিয়ার বিষয়। কিন্তু তার আগেই রায়ের একটি আগাম আভাস দিচ্ছেন জার্মানির মিউনিখ থেকে। সুতরাং বোঝা যায় তিনি আদালতকে প্রভাবিত করছেন, তাঁর কথায় আদালত কাজ করবে সেটা সুস্পষ্ট। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের দেশে এটা সম্ভব নয়, এটি হতে দেয়া যায় না।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনার (প্রধানমন্ত্রী) দলের প্রধান নেতা একজন এমপিকে চর মেরে দিচ্ছে, কিল ঘুষি মেরে দিচ্ছেন, আপনার দলে যদি সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিরা থাকতো তাহলে এরকম সংবাদ খবরের কাগজে, গণমাধ্যমে কখনই আসতো না। দলের নেতা দলের এমপিকে গুলি করে মেরে ফেলছে, এটা কি রাজনীতির কোনো দৃষ্টান্ত হতে পারে?’

রিজভী আরও বলেন, ‘আজকে রাজনীতি আর সংস্কৃতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত নয় বলেই এই ধরনের কালো দাগ রাজনীতিতে পড়ছে। আপনি প্রধানমন্ত্রী, ২০১৪ সালের পর আপনার বৈধতা শেষ হয়ে গেছে। তার পরও জোর করে ক্ষমতায় রয়েছেন, এটাও একটা অসাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। যদি প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতিমনা ব্যক্তি হতেন তাহলে এই যে জোর করে ক্ষমতাকে আকড়ে থাকা, ধররে, মাররে, তার বিরুদ্ধে কথা বললেই একের পর এক মামলা দিয়ে জেলে পুরে রাখা, এগুলো হত না।’

সংস্কৃতিমনা ছেলেরা যত বেশি রাজনীতিতে যুক্ত থাকে তত বেশি রাজনৈতিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পায় উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘এটি একটি উন্নতমানের শিল্পকলা। কিন্তু এরা যখন রাজনীতির বিভিন্ন ডামাডোলে রাজনীতিতে জায়গা পায় না, তখন সন্ত্রাসী মাস্তান রূপে আবির্ভূত হয়।’

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান, লাবনী প্রকাশনীর প্রকাশক ইকবাল হোসেন সালু ও লেখক চন্দন রহমান প্রমুখ।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন