ভাষা দিবসে শহীদদের কবরের পাশে শিবিরের মোনাজাত?

  22-02-2017 02:34AM

পিএনএস ডেস্ক : ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি, সারামাস জুড়েই ভাষা শহীদদের স্বরন করা হয়। এ যেন এক নিয়মে পরিনত হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আসলেই রাত ১২.০১ মিনিট থেকেই আমরা হাজির হয়ে যাই শহীদ মিনারে । কে যেন আমাদেরকে বুকের ভিতর থেকে নাড়িয়ে তুলে, কোথায় তুমি, ভুলে গেছ, আজ ২১ ফেব্রুয়ারি; যাবেনা শহীদ মিনারে? এসব যেন আমরা নিজে নিজেই ভাবি । এসব ভাবতে ভাবতেই শহীদ মিনারে গিয়ে হাজির হই । ফুল দেই, নিরবতা পালন করি।

ছোট বেলার কিছু বিষয় খুব মনে পড়ে, কোন মানুষ মারা গেলে গ্রামে মানুষের মাঝে শোকাহত ভাব ফুটে উঠতো। মানুষ দুর-দুরান্ত থেকে এসে শোকাহত পরিবারকে সহমর্মিতা জানাতো। অপরের দু:খে দুখি হতো। একই ভাবে মৃত্যু বার্ষিকী পালন করলেও মানুষজন আসতো । কবরের পাশে গিয়ে দোয়া মুনাজাত করতো। কেউ কেউ বাসায় আয়োজন করতো খাওয়া-দাওয়ার পর মৃতদের জন্য হাত তোলে দোয়া করতো। এসকল দোয়াতে এসে সবাই মৃত ব্যাক্তির জন্য দোয়া করতো। শোকাহত পরিবারকে সহমর্মিতা জানাতো। আজও খুব মনে পড়ছে সেই অতিতকে।

২১ ফেব্রুয়ারি, যে দিবসে আমাদের বাংলা ভাষার জন্য ভাইদের জীবন দিতে হয়েছিল। তাদের তো ব্যাক্তিগত কোন সার্থ ছিলনা। তাদের পরিবারগুলো কি এই দিনে আমাদের সহমর্মিতা পেয়েছে? তাদের কবরের পাশে কি আমরা গিয়ে কিছু সময় ব্যয় করেছি? তাদের কবরের পাশে দাড়িয়ে কি একটু দোয়া পড়ে স্রষ্টার কাছে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করা দরকার ছিল না?

ভিতর থেকেই যেন প্রশ্নের উত্তর খুজে পাই হ্যাঁ দরকার ছিল। পরিবার গুলোকে একটু সহমর্মিতা জানানোরও দরকার ছিল। কবরের পাশে গিয়ে একটু নিরবে দোয়া করাও দরকার ছিল।

আমরাতো ফুল দিয়েছি, শ্রদ্ধা জানিয়েছি, সাথে সাথে দোয়া করাটাও তাদের জন্য জরুরি ছিলো।

এসকল উত্তর পেয়ে তখন খুজি আমি হয়তো যেতে পারিনি, দেখিনা কেউ গেলো কিনা?

হ্যাঁ পেয়েছি। গিয়েছে, আচ্ছা যাবেই তো এ চিন্তা কি শুধু আমি করি? না আসলে অনেকেই করে।

কারা গেলো কবরের পাশে ? উত্তর খুজে পাই হ্যাঁ তারাতো সেই ছাত্রনেতারা যাদের নেতাদের ফাসিঁ দেওয়া হয়েছিল মানবতাবিরোধী অপরাদের মামলায় । যারা হাজারো মামলায় জর্জরিত। যাদেরকে পুলিশ খোজেঁ নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করার জন্য । হায় আপসোস!

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন