হঠাৎ বিএনপির নেতানেত্রীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে গুলশান কার্যালয়!

  18-05-2017 11:08PM


পিএনএস ডেস্ক: ২০১৪ এবং ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারির আন্দোলনের আগে-পরে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় অনেকটাই খাঁ খাঁ করছিল। কয়েকদিনেও দু’এক নেতাকর্মীর দেখা মেলেনি ওই কার্যালয়ের সামনে। ওই সময় প্রভাশালী নেতারাও পুলিশি হয়রানির ভয়ে খোঁজ নেননি বেগম জিয়ার। হাতেগোনা কয়েকজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়েই দীর্ঘদিন পাড় করেন বেগম জিয়া।

এরপর যখন সরকারি বাহিনীর উপস্থিতি কমে তখন সুবিধাবাদ তথা চাটুকর নেতানেত্রীরা আবারো ভিড়তে শুরু করে, নেত্রীকে দর্শন দিতে। কিন্তু হঠাৎ করেই গত কয়েকদিন থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চাটুকর নেতানেত্রীদের ভিড় বেড়ে গেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে শত শত নেতা ভিড় করছেন নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। চাটুকরদের ঢল এতটাই বেড়েছে যে কার্যালয়টির ভেতরে-বাইরে উপচে পড়া ভিড়। সবার দাবি- নেত্রীর দেখা চাই। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। সাক্ষাৎ প্রার্থী নেতানেত্রীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। নেত্রীর সাক্ষাৎ না পেয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন, দায়ভার চাপাচ্ছেন কর্মকর্তাদের ওপর। অনেকেই অযথায় তর্কে জড়াচ্ছেন। এমন কী অনেকে ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারেও লিপ্ত হচ্ছেন। কিন্তু নেত্রীর কড়া নির্দেশ কাউকে ডাকা না হলে ভেতরে পাঠানো নিষেধ। এতে অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সূত্র মতে, গত ১০ মে বেগম জিয়া ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করার পর থেকেই এই ভিড় অনেকটাই বেসামাল হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে নেতারা ভিড় করছেন। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে নেত্রীর সাক্ষাৎ দাবি করছেন।

তবে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যাদের ডাকবেন তারাই সেখানে গিয়ে দেখা করতে পারবেন। এছাড়া কাউকে সেখানে গিয়ে অযথা ভিড় করতে মানা করা হয়েছে নেত্রীর পক্ষ থেকে। কিন্তু কে শোনে কার কথা- ‘চাকুকারিতা কিংবা সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ বলে কথা’ যে কোনো মূল্যে ম্যাডামকে দর্শন দিতেই হবে। এলাকার নেতাকর্মী কিংবা জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাক কিংবা না থাক, তাতে কী আসে যায়। নেত্রীকে দর্শন দিয়ে নিজের মনোনয়নের প্রাপ্তির পথ নিশ্চিত কিংবা নিজেকে নেতা প্রমাণ করতেই মরিয়া সবাই। এতে যা হবার তাই হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, অনেকে নেত্রীর সাক্ষাৎ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সংবাদের খোরাক তৈরি করছেন।

সরেজমিন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, গভীর রাতেও ভেতরে বাইরে শত শত নেতানেত্রীর ভিড়। সবাই সাক্ষাৎ প্রার্থী। নীচের-উপরে ওয়েটিং রুম কিংবা বাইরে দাঁড়ানোর মত কোনো ঠাঁই নেই। সবাই বড় নেতা, কে শোনে কার কথা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নেতাদের এমন আচরণে ম্যাডাম নিজেও ক্ষুব্ধ ও বিব্রত। নেত্রীর পরিষ্কার মনোভাব ও দিকনির্দেশনা- যাদের প্রয়োজন হবে তাদেরকে গুলশান কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হবে- অন্যেরা এখানে অযথা ভিড় করার দরকার নেই। এরপরও চাটুকর ও সুবিধাভোগীদের সামলানো যাচ্ছে না।

এদিকে ভিশন ঘোষণার পর তৃণমূলেও দেখা দিয়েছে হানাহানি। মাঠে-ময়দানে এতদিন যাদের তেমন একটা দেখা মেলেনি, সুবিধাবাদী বলে পরিচিত- ‘আন্দোলনের পেছনে- সুবিধার ক্ষেত্রে সবার আগে’ এমন নেতাকর্মীরা হঠাৎ করেই পদ-পদবী পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এতে কয়েক দিন ধরেই একটি সংবাদ বারবার সামনে আসছে- ‘সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ-সংঘাত।’ প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এসব সংঘাতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। হঠাৎ কেন তারা নিজেরাই এমন সংঘাতে জড়িয়ে পড়ল? এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে। এসব বিষয়ই দলের ভিতরে ও বাইরে ব্যাপকভাব আলোচনা হচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপি নানা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে নেতাকর্মীদের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে মিনু-বুলবুল গ্রুপের দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে অনেক ডালপালা গজিয়ে জেলাতেও ছড়িয়েছে। অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও এই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে।

কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সোমবার মিনু-বুলবুল গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষের পর মঙ্গলবারও দু’দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এ নিয়ে রাজশাহীর বিএনপিতে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারো যেকোনো সময় সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দরে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন জেলার সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্টু।

মঙ্গলবার সাড়ে ৩টার বিমানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কেন্দ্রীয় নেতারা বিমানে উঠেন। বিমান ছেড়ে যাওয়ার পর বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তর্কে জড়িয়ে পড়েন মুন্টু ও মিলন। এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও মুন্টুকে ফেলে দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্টু নিজেই বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় শফিকুল হক মিলন উত্তেজিত হয়ে মিলন আমার গায়ে হাত তুলে এবং ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এর পর মিলনের লোকজন দ্বিতীয় দফায় আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং গায়ের পাঞ্জাবী টেনে ছিড়ে ফেলে। এসময় মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গিয়ে আমাকে রক্ষা করেন।’

এর আগে জেলা ও মহানগর কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে রাজশাহী সফরে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সোমবার নগর বিএনপির কর্মী সম্মেলন ও মঙ্গলবার জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সম্মেলন হয়। জেলা ও নগরে দুই সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। এমন কী গয়েশ্বরকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটছে বলে খবরে জানা যাচ্ছে। এনিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

এদিকে রবিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অডিটরিয়াম মিলনায়তনে ঢাকা জেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশ চলাকালে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আমান উল্লাহ আমানের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারি এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বক্তব্য না দিয়ে হল ত্যাগ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল।

পরে রবিবার দিবাগত রাতে তাদেরকে ডেকে গুলশানে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বেগম জিয়া। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আমান উল্লাহ আমানকে ডেকে খালেদা জিয়া জিজ্ঞাস করেছেন কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে? এখন দলতে সংগঠিত করার সময়, দলকে গোছানোর সময়। আপনাদের সিনিয়র নেতারা থাকতে অনুষ্ঠানে কেন এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো?

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নেতাকর্মীদের নিয়ে বসে ওই দিনের ঘটনা মিটমাট করে নিতে অন্যথা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করেন দেন বেগম জিয়া।

অন্যদিকে গত ২ মে চট্টগ্রাম উত্তর এবং ৩ মে দক্ষিণের কর্মীসভা দলীয় কোন্দলের কারণে মারামারিতে পণ্ড হয়ে যায়। তবে ৪ মে মহানগর বিএনপির কর্মী সভা হয়।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখায়ি ছোট বড় মিলিয়ে অন্তত এক ডজন গ্রুপ সক্রিয়।চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির কর্মীসভার সময় সংঘর্ষে আহত হন সহসভাপতি এনামুল হক।

পরে চট্টগ্রামের বিএনপির দুই সাংগঠনিক জেলার বিভক্তি নিরসনের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই নেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।সোমবার রাতে চট্টগ্রামের ১৫ নেতার সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয় চট্টগ্রাম ‘উত্তর’ ও ‘দক্ষিণ’ জেলা কমিটি কেন্দ্র থেকেই করে দেওয়া হবে।

বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রামের দুটি কর্মীসভা কোন্দলের কারণে পণ্ড হয়ে যাওয়ায় বৈঠকে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। দুই জেলা শাখার কর্মীসভায় মারামারি এবং সংগঠনে বিভক্তির জন্য চট্টগ্রামের দায়িত্বে থাকা নেতাদের ব্যর্থতাকেই তিনি দায়ী করেন।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনী মাঠ প্রস্তুত করতে কেন্দ্র থেকে সারা দেশে সংগঠন পুনর্গঠনে কর্মী সভা করতে যে ৫১টি দল গঠন করে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগরের দায়িত্বে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

কেন হঠাৎ বিএনপিতে এমন অবস্থা, এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে বিএনপির ভেতরকার চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে যায়, নির্বাচন সামনে ক্ষমতার কাছাকাছি দল- তাই দলে নতুন করে আধিপত্য বিস্তার এবং পদ-পদবী দখলই এসব সহিংসতার মূল কারণ।

এক সময়ের রাজশাহী অঞ্চলের তুখোড় নারী নেত্রী ও সাবেক এমপি জাহান পান্না বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ‘ভিশন-২০৩০’ ঘোষণা করার পর সব নেতাকর্মীর মধ্যে এমন একটা বদ্ধমূল সৃষ্টি হয়েছে যে, অচিরেই দেশে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। সেই পটপরিবর্তনে বিএনপি ফের ক্ষমতায় আসছে।এছাড়া ভিশনকে তারা এক ধরনের নির্বাচনী ইশতিহার হিসেবে নিয়েছেন। ফলে ভিশন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এক সময়ের ঘুমিয়ে থাকা নেতাকর্মীরাও ফের সক্রিয় হয়ে দলের পদ-পদবী দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয়েছে। আর এতেই সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।

তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতাও মিলেছে, শাজাহান মিয়া নামে এক নেতা বলেন, দীর্ঘ দশ ধরে দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করে আসছি, এখন যদি পাতি নেতাদের ভিড়ে আমরা হারিয়ে যাই তবে দল ক্ষমতায় আসলে কোনো পাত্তাই পাবো না। তাই এখনই দলে শক্ত অবস্থান চাই।

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব অনুষ্ঠানে সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারা ছিলেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রভাবশালী নেতারা ছিলেন তারা কেন সামলাতে পারছেন না। কিংবা নেতাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এর পেছনের কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে- সব নেতাই চাচ্ছেন – নিজ বলয়ে নেতাকর্মীদের শক্ত অবস্থান করে নিতে। এতে ভবিষ্যৎ রাজনীতি করা সহজ হবে।

দলের তৃণমূলের সাধারণ নেতাকর্মীরা মনে করে, এ বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের আরো কঠোর হতে হবে। অন্যথা নিজেদের মধ্যে যে হানাহানি সৃষ্টি হয়েছে তাতে সামনে সরকারবিরোধী আন্দোলন জটিল হবে। তাই এখনই এসব দ্বন্দ্ব নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

তবে এসব বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে কেউ রাজি না হলেও বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের দু’এক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- তারা এটাকে সমস্যা হিসেবে দেখছেন না। বরং বেগম জিয়া ভিশন ঘোষণার পর নেতাকর্মীরা যে আশাবাদী ও চাঙ্গা হয়েছেন এসব ঘটনা এরই প্রমাণ। বড় দলে পদ-পদবী নিয়ে কিছুটা হিসিং থাকবেই। পরে সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির নীতিনির্ধারক ও প্রভাবশালী এক নেতার মতে, যারা অযথায় গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে ভিড় করছেন এবং কর্মকর্তাদের বিব্রত করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কেননা, এলাকায় ভিত্তি কিংবা জনপ্রিয়তা নেই অথচ গুলশান কার্যালয়ে নেত্রীকে দর্শন দিয়ে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা এটা কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া ঠিক হবে না। ফলে নেত্রীর ডাক ছাড়া কেউ ওই কার্যালয়ে গেলে কিংবা নেত্রীর সাক্ষাৎ প্রার্থী হলে তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা থাকা প্রয়োজন। অন্যথা গুলশান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতিদিনই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন