গ্রীক দেবীর মূর্তি নিয়ে লুকোচুরি খেলা খেলে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত

পিএনএস ডেস্ক: সুপ্রীম কোর্টের সামনে থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তিটি সরিয়ে অ্যানেক্স ভবনের সামনে পূনরায় স্থাপন করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সুপ্রীম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে গ্রীক দেবীর মূর্তিটি পূনরায় স্থাপন করা হলো কার নির্দেশে?

রবিবার ( ২৮ ) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এ নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, একটি দৈনিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বক্তব্যের বরাত দিয়ে লেখা হয়েছে যে, ‘অ্যানেক্স ভবনের সামনে মূর্তি স্থাপনের ব্যাপারে তিনি এবং প্রধান বিচারপতি কিছুই জানেন না।’ দেশবাসীর প্রশ্ন, তাহলে সুপ্রীম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে গ্রীক দেবীর মূর্তিটি পূনরায় স্থাপন করা হলো কার নির্দেশে? যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া সেখানে মূর্তিটি স্থাপন করলো কে?’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির এ কথা শুনে মনে হয় যে, সরকারের ভিতরে লুকিয়ে থাকা কোন মহল গ্রীক দেবীর মূর্তিটি নিয়ে পাতানো লুকোচুরি খেলা খেলে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। গ্রীক দেবীর মূর্তির সাথে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এবং আইন-আদালতের কী সম্পর্ক তা আমাদের মোটেই বোধগম্য নয়।’

বিবৃতিতে ডা. শফিক বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তিটি সরিয়ে অ্যানেক্স ভবনের সামনে পূনরায় স্থাপন করার মাধ্যমে গ্রীক দেবীর মূর্তিটি নিয়ে যে লুকোচুরি খেলা হচ্ছে তাতে দেশবাসীর সাথে আমরাও ক্ষুব্ধ এবং গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

তিনি আরো বলেন, ‘দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ এবং বিশেষভাবে উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী দলগুলোর অব্যাহত প্রতিবাদের মুখে সরকার সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তিটি সরাতে বাধ্য হলেও অজ্ঞাত শক্তির মদদে তা আবার সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করে সমস্যাটি উস্কে দেয়া হলো কেন- তা দেশবাসীর নিকট বোধগম্য নয়। গ্রীক দেবীর মূর্তিটি নিয়ে এ ধরনের লুকোচুরি দেশবাসীর কাম্য নয়।’

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, এ বিষয়টির বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করে এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং গ্রীক দেবীর মূর্তিটি সুপ্রীম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে থেকে অপসারণ করে এ সমস্যার সমাধান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম