বগুড়া-৪ আসনে বড় ফ্যাক্টর জাসদের এমপি তানসেন ও বিএনপির রাফী পান্না

  22-06-2017 10:19AM



পিএনএস, বগুড়া: বিএনপির কাছ থেকে বেদখল হওয়া ৩৯ বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন। জাসদের (তানসেন এমপি) দখলে থাকা আসনটি পুনরুদ্ধারে মড়িয়ে হয়ে উঠেছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী এডভোকেট রাফী পান্না।

বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি না থাকায় অনেকটা ফাঁকা মাঠেই গোল দিয়েছেন জাসদের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল আমীন বাচ্চু এতটাই দুর্বল ও জনবিচ্ছিন্ন প্রার্থী ছিলেন যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লজ্জাজনক ভোটে পরাজিত হন। অনিশ্চয়তার নির্বাচনে জাসদের (ইনু) প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন সাংসদ নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন বিএনপির দখলে থাকা বগুড়া ৪ আসনটি আওয়ামীলীগ দখলে নিতে বরাবরই ব্যর্থ ছিল। বিএনপির দখলে থাকা সেই আসনটি গতবারের নির্বাচনে জাসদের (ইনু) তানসেন এর দখলে চলে যায়। হঠাতই নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে জনবিচ্ছিন্ন ও দলীয় নেতাকর্মী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন বিএনপির সাবেক সাংসদ মোস্তফা আলী মুকুল। নেতৃত্ব সংকটে পড়ে বিএনপি। অস্তিত্ব বিপর্যয়ে থাকা দল ও নেতাকর্মীর দুঃসময়ে পাশে দাড়ান বগুড়া জেলা বিএনপির সহ সভাপতি রাফী পান্না।

দীর্ঘ প্রচেষ্টায় ও পরিশ্রমে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। নিয়মিত গনসংযোগে নির্বাচনী এলাকায় থাকায় বিএনপির জনপ্রিয়তা গড়ে তুলেছেন রাফী পান্না। বর্তমানে বগুড়া-৪ আসনটি আবারও বিএনপির দূর্গ গড়ে উঠেছে।

জাসদের কাছ থেকে আসন পুনরুদ্ধারে জোরেসোরে মাঠে নেমেছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী রাফী পান্না। দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন অনেকেই। সাবেক সাংসদ মোস্তফা আলী মুকুল, বিএনপি নেতা ফজলে রাব্বী তোহা ও মোশাররফ হোসেন। তবে বর্তমানে আওয়ামীলীগের কাছে ফ্যাক্টর বিএনপির রাফী পান্না।

নন্দীগ্রাম সদরের ব্যবসায়ী শামছুর রহমান ও রনবাঘা বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম ৭১ভিশনকে বলেন, জাসদের এমপি তানসেন ও বিএনপির রাফী পান্না নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের মুখে মুখে রয়েছেন।

কাহালুর আটাশি গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার ও সিরাজুল ৭১ভিশনকে বলেন, রাফী পান্না একজন এডভোকেট। তিনি সাধারন মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। আমরা এবার ব্যালটে সিল মারতে ভূল করব না। নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট বাজারের দোকানি আব্দুল জলিল ৭১ভিশনকে বলেন, এমপি তানসেন আমাদের গর্ব। বিএনপির কাছ থেকে আওয়ামীলীগ বারবার আসন দখলে ব্যর্থ হলেও আসনটি দখল করতে সক্ষম হয়েছেন জাসদের তানসেন। তিনি নির্বাচিত হবার পর থেকে নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আগামী নির্বাচনে এমপি তানসেন বড় ফ্যাক্টর। জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এদিকে, এই আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন। তিনিও নির্বাচনী এলাকায় মাঠে রয়েছেন।নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুর রহমান ৭১ভিশনকে বলেন, জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন জনপ্রিয় নেতা। তিনিই যোগ্য প্রার্থী।

সংগঠনকে সক্রিয় করে গড়ে তুলেছেন জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে থাকা সংগঠন ও নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে সক্ষম হয়েছেন এই নেতা। জাপার কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা যুব সংহতির সভাপতি শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুকই এবার শেষ কথা। কাহালু উপজেলা জাপার সাধারন সম্পাদক শাহীন সরদার ও নন্দীগ্রাম উপজেলা শ্রমিক পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ৭১ভিশনকে বলেন, আমরা ফারুকের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তিনি পার্টির দুঃসময়েও আমাদের পাশে ছিলেন। বগুড়া-৪ আসনে জাতীয় পার্টিতে ফারুকের বিকল্প নেই।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন