‘সরকার চোরকে বলছে চুরি করতে আর পুলিশকে বলছে ধরো’

  23-06-2017 01:54AM



পিএনএস ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ইমেজ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে জনগণের সাথে চলছে তামাশা, চলছে নাটক। সরকার চোরকে বলছে চুরি করতে আর পুলিশকে বলছে ধরো ধরো। প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি রক্ষা করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রীকে বেকুব ও রাবিশে পরিণত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

মহাসড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজটে মানুষের ভোগান্তি চরম বেড়েছে যা সরকারের চরম ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এই সরকার হচ্ছে জনদুর্ভোগ সরকার। ঈদে ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা নেই। ঢাকার চারদিকে সব মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে যাত্রীদের নাকাল অবস্থা। এর মূল কারণ হলো- রাস্তাঘাট খানাখন্দকে ভরা। বৃষ্টির পানিতে খানাখন্দক ভরে এখন খালে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কগুলো দীর্ঘ যানজটে মানুষের ভোগান্তি চরম বেড়েছে। এটা সরকারের চরম ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। মন্ত্রীরা বাগাড়ম্বর কথা বলে যাচ্ছেন কিন্তু দেশের উন্নয়নের কোনো চিহ্ন নেই। গণমাধ্যমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারাদেশে সড়ক-মহাড়কের ৭৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তারই বেহাল দশা। এগুলো সরকারের দুর্নীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

রিজভী বলেন, বিতর্কিত ভ্যাট আইন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অদ্ভুত ব্যাপার। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারপরে সংসদে যায় বাজেট। বাজেটে অর্থবিল একটা আইন। এই বিল যাওয়ার আগে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন হয়। তাহলে আমাদের প্রশ্ন এটি ক্যাবিনেট মিটিংয়ে অনুমোদন হলো কিভাবে? প্রধানমন্ত্রীর ইমেজ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে জনগণের সাথে চলছে তামাশা, চলছে নাটক।

তিনি বলেন, ভোটারবিহীন সরকার মনে করে আমরা যে ছলনাই করি না কেনো জনগণ কিছুই যেন উপলব্ধি করতে পারে না। তারা অনাচার আর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিকল্পিত নাটক সাজিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। বাজেট নিয়ে সরকারের যে তামাশা তাতে তারা (সরকার) কোনো গভীর সত্যকে লুকাতে চেষ্টা করছে।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাজেটের ওপর মন্ত্রিপরিষদের যে বৈঠকটি হয়েছিলো, প্রধানমন্ত্রী আগে কী জানতেন না যে এটা জনগণের ওপর চরমভাবে দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে? সেজন্য আমরা বলেছি একটা তামাশা করা হয়েছে। এখন অর্থমন্ত্রীকে বলিরপাঠা বানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি রক্ষা করাই হচ্ছে তাদের (ক্ষমতাসীন সরকার) মূল লক্ষ্য। সত্যিকার অর্থে জনগণের দুর্ভোগ কমাতে তারা কোনো কাজ করছে না।

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খোশালপুর গ্রামে ভারতের বিএসএফ কর্তৃক দুই কিশোরকে গুলি করে হত্যার নিন্দা জানিয়ে এ ক্ষেত্রে সরকারের ‘নিশ্চুপ’ ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সদ্য কারামুক্ত যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন