জাকিরকে নিয়ে এতো আলোচনার রহস্য উন্মোচন!

  23-06-2017 09:33PM

পিএনএস : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনকে কড়া ভাষায় শাসালেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়েও শাসালে মিডিয়ায় এ নিয়ে আলোচনার ঝড় শুরু হয়।

কি কারণে জাকিরকে শাসালেন? ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকে নিয়ে এত আলোচনার কারণ কি?। বিশেষ করে তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের ফেসবুকে পাল্টা-পাল্টি স্ট্যাটাস চলছে। স্টাটাসকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদের ঝড় চলছে ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে।

অনেক ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগকে শাসানোর অধিকার রাখেন তবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তমূলক তথ্য পেয়ে সঠিক বিষয় বিচার বিশ্লষণ না করে বর্তমান একজন জনপ্রিয় ছাত্র নেতাকে এভাবে প্রকাশ্যে শাসানো উচিত নয়।

এদিকে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন "শুনলাম কোন মন্ত্রীর এক P.0 নাকি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি । সভাপতি সাধারন সম্পাদকও নাকি তাকে তোয়াজ করে চলে । ভালো তো.........ভালোনা........" ।

বিষয়টি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নুরুল করিম জুয়েলের দিকে ইঙ্গিত করেছে বলে অনেক ছাত্র নেতাদের ধারণা।

এখন সারা দেশের ছাত্রলীগ নেতাদের মনে একটাই প্রশ্ন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনকে নিয়ে এত আলোচনার কারণ কি?।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পদে সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক পদে এস এম জাকির হোসাইন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ছাত্রলীগের পুরানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন।

বিশেষ করে এস এম জাকির হোসাইন মেধাবী তরুণ ও ‘ক্লিন ইমেজের’ নেতা নিয়ে আসতে চান। আর এতেই নড়েচড়ে বসেন ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে যারা বিভিন্ন অপকর্ম জড়িত রয়েছে। এস এম জাকির হোসাইন নিজেও অনেক বক্তব্যে বলেছেন সৎ, পরিচ্ছন্ন, মেধাবী ও ছাত্রত্ব আছে এমন প্রার্থীরাই স্থান পাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ভিশন ২০২১ পূরণের লক্ষ্যে যোগ্যদেরকেই সুযোগ করে দেওয়া হবে।’ ‘যাচাই-বাচাইয়ের মাধ্যমে মেধাবী ও যোগ্যদের হাতে নতুন নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে। এর জন্য ক্লিন ইমেজের নেতা খুঁজে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পদে সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কমিটিতে বৈধ ছাত্র, যোগ্য ও জনপ্রিয়দের স্থান দেওয়া হয়। এছাড়া বিতর্কিতদের হাতে যেন নেতৃত্ব না যায়, সেই বিষয়টি বিবেচনায় ছিলো।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় এস এম জাকির হোসাইন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার অল্প সময়ে ক্লিন ইমেজ ছাত্র নেতাতের মাথার মধ্যমনি হয়ে বসেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাসে প্রথম কোনো ছাত্র নেতা সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় একুশে বই মেলায় নিজের লেখা প্রকাশিত বই বিক্রি করে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে ক্রমেই নিজের ফেনের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও সামাজিক কাজে মৃত্যুপথযাত্রী ছাত্রী রুমাকে নিজের বই বিক্রির টাকায় বিদেশে চিকিৎসায় পাঠান। আলোচিত খাদিজাকে বাচিয়ে তুলে নিজ উদ্যোগে হাত বাড়িয়ে দেন। জঙ্গি হামলা সহ বিভিন্ন কারনে নিহত অথবা আহত ছাত্রনেতাদের পারিবারিক খোঁজ খবর নিয়ে, সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন নিয়িমিত।কারো ব্যক্তিগত স্বার্থে ছাত্রলীগের ব্যাবহার বন্ধে করতে বদ্ধপরিকর।

এসব কারণে দ্রুত ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। ইজম রাজনীতির উর্ধ্বে গিয়ে সারাদেশে কর্মী তৈরি করেন।ছাত্রলীগের ইতিহাস যেমন গৌরবময় ঠিক তেমনি বর্তমান নেতৃত্ব সেই ইতিহাস ঐতিহ্যকে আরো বহুগুণ বেশি সমৃদ্ধ করেছেন তাদের চমকপ্রদ নেতৃত্ব গুণে।

আর এই সমৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি দাবিদার হিসাবে তরুণ ছাত্রনেতারা মনে করেন ছাত্রলীগের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে জনপ্রিয় ছাত্রনেতা এস এম জাকির হোসাইন।

এছাড়া নিজ এলাকায় রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। ছাত্রলীগের অনেক নেতারা মনে করেন যে বা যারাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে বিভ্রান্তমূলক তথ্য দিয়ে একজন মেধাবী ও রাজনৈতিক বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করে ছাত্রলীগের জন্য ষোল ঘন্টা পরিশ্রম করেন এমন নেতা সম্পর্কে কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ায় তাহলে ছাত্রলীগের জন্য এটা চরম দুঃখজনক।

পিএনএস/আ.স.

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন