খালেদার লন্ডন সফর নিয়ে রাজনীতিতে কথোপকথন ও সমকালীন ভাবনা

  17-07-2017 09:44AM


পিএনএস ডেস্ক: শনিবার লন্ডন সফরে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে ২০১৫ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার পরিবারের সঙ্গে প্রায় দুই মাস কাটানোর পর দেশে ফিরেন তিনি। তবে এবার তিনি সেখানে কতদিন থাকবেন সেটা এখনো স্থির হয়নি।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই তার এই লন্ডন সফরের সম্ভাবনা এবং গুরুত্ব নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনা চলে আসছিল। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান বেশ কয়েক বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে বিএনপির রাজনীতিতে তিনি যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেন বলেও শোনা যায়।

ফলে চেয়ারপারসনের সাথে তার এই সাক্ষাৎ যে শুধু মা ছেলের সাক্ষাৎ হবে না, বরঞ্চ দলের ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার শলাপরামর্শেরও ক্ষেত্র তৈরি করবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

যদিও দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, সফরটি একান্তই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ও চিকিৎসার জন্য। এরপরও দেশের সব কিছু দাবিয়ে বারবার আলোচনায় আসছে খালেদা জিয়ার সফরটি। অনেকের মতে, সেখান থেকে ফিরেই সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন তিনি৷ এছাড়াও রাজনীতিতে নানা পরিবর্তন আনতে পারেন। ফলে তার এই সফর ঘিরে রাজনৈতিক মহলে অন্যরকম একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলেই বুঝা যাচ্ছে৷ খালেদা জিয়ার এই সফরকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুশীল সমাজও।

এছাড়া যেহেতু সেখানে তারেক রহমানের সাথে খালেদা জিয়ার দেখা হবে ফলে সাংগঠনিক অনেক ব্যাপারেই তাদের শলা-পরামর্শ হবে, যেটাকে বিএনপির রাজনীতিতে খুব গুরুত্ব বহন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তিন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে আলোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে কারো কোনো কথা নেই। কিন্তু এই সফরকে ঘিরে রাজনীতিতে নতুন করে যে হিংসা-প্রতিহিংসার বাতাস বইছে সে বিষয়টি অনেকেরই দৃষ্টি কাড়ছে। এতদিন বিরোধী পক্ষ থেকে যে হিংসাত্মক রাজনীতির অভিযোগ করা হচ্ছিল তার একটা আলমতও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা কী দেখলাম- শনিবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়া লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগের আগে-পরে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী এমপি ও নেতাদের বক্তব্য থেকে সেই আলামত আরো স্পষ্ট করে তুলেছে।

দেশ যখন নানামুখী সঙ্কটে সে মুহূর্তে এটা যেন আমাদেরকে এক অশুভ ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতে সামনের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ উদ্বেগ শুধু দেশবাসীর মধ্যেই নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও রয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ- গণতান্ত্রিক চর্চা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কী ‘কয়লা ধুইলে তো ময়লা যায় না’। সেই উদ্বেগের জায়গা থেকেই আজকের আমার এই লেখা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন প্রাক্তণ ছাত্র হিসেবে যতটুকু জানি তাতে, গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত পরমতসহিষ্ণুতা। গণতন্ত্র তো হলো সেই পরিবেশ- যেখানে সব দল মত ও বিশ্বাসের মানুষ তাদের সব চিন্তা-চেতনা মুক্তভাবে প্রকাশ ও চর্চা করতে পারে। গণতান্ত্রিক সমাজে যেমনটি কারো মত প্রচারে বাধার সৃষ্টি করা যায় না, তেমনি কোনোভাবেই কাউকে আঘাত তো দূরের কথা, অসম্মানও করা যায় না। ফলে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে হলে নিজেদের মত নিজেদের মতো করে জনগণের কাছে উপস্থাপনের মাধ্যমেই করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যত্যয় হলে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির ব্যত্যয় হবে, সমাজ হারাবে গণতান্ত্রিক চরিত্র। ঘটবে গণতন্ত্রের বিপর্যয়। প্রভাব বিস্তার করবে পেশিশক্তি কিংবা অপশক্তি।

আজ বাংলাদেশ কী সে পথেই এগুচ্ছে? আমরা গত কয়েক বছর ধরে কী দেখলাম। সরকার ও বিরোধী পক্ষ গণতান্ত্রিক রীতিনীতির পরিবর্তে এক বিরাট শক্তির মহড়া দিয়েছে।দু’পক্ষের এই শক্তির প্রতিযোগিতায় অনেক মাসুল গুনতে হয়েছে গোটা জাতিকে! এসব কেন হয়েছে, অবশ্য এর জবাব হাসিনা-খালেদার কাছে ভিন্ন। তবে আমরা সাধারণ জনগণ জানি, এসব কিছুর দায় তারা কেউ এড়াতে পারবেন না। কিন্তু তাতে আমাদের কী বা করার আছে!

রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতা বলে কথা। যখন যার হাতে তখন তারা নিজের মতো করেই এই শক্তিকে ব্যবহার করেন। আর সেই শক্তির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সাধ্য কার বা আছে!

থাক এসব কথা, ফিরে আসি আজকের আলোচ্য বিষয়ে। সফরের মূল উদ্দেশ্য চিকিৎসা হলেও লন্ডনে অবস্থানরত তার পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ হবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা লক্ষ্য করছি- বিদেশ সফর তো আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান, নির্বাহী প্রধানসহ আরো অনেকেই অহরহ করছেন। কই সেগুলো নিয়ে তো এত আলোচনা-সমালোচনা হয় না। কিন্তু বেগম জিয়া সফরের আগে-পরে সরকার পক্ষের লোকজন বেশ সরব। এক্ষেত্রে বাদ যাননি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও। সবমিলেই সহজেই অনুমেয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম জিয়ার গুরুত্ব ও প্রভাব।

গণতান্ত্রিক রীতিতে আলোচনা-সমালোচনা হতেই পারে সেটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু সরকার পক্ষের লোকজন যে ভাষায় সমালোচনা করছেন তা অতিকথন কিংবা অকথন বললেও মনে হয় ভুল হবে না। কেননা, তাদের অনেকের বক্তব্য-মন্তব্য গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা শুধু গণতান্ত্রিক রীতিনীতি নয়, স্বাভাবিক রুচিবোধকেও ছাড়িয়েছে। সব মিলেই বেগম জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে ক্ষমতাসীনরা স্নায়ু চাপে ভুগছেন বলেই মনে হচ্ছে। তারা তা নানা মন্তব্য-বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশও করছেন। ক্ষমতাসীন দলের কেউ কেউ এ সফরে ষড়যন্ত্রের গন্ধও খুঁজে পাচ্ছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরের প্রতি ইঙ্গিত করে রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। বিদেশে বসে শেখ হাসিনাকে হটানোর ষড়যন্ত্র সফল হবে না।

তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির শত্রু আওয়ামী লীগ না। তাদের এখন প্রধান টার্গেট শেখ হাসিনা। তাকে হটাতে পারলেই তাদের শান্তি।’

অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন সফরে তার ছেলে তারেক রহমান ছাড়াও অন্য অনেকের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন আর এদের পরিচয় তিনি জানেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

হাসান মাহমুদ বলেন, দেশে ফিরে খালেদা জিয়া আগের মত নাশকতা করলে রাজনীতি থেকে চির বিদায় নিতে হবে তাকে।

হাসান মাহমুদ আরো বলেন, ‘তিনি যখন বিদেশ যান তখন একটা প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসেন এবং সন্ত্রাসবাদ চালান। এইবার যদি বিশৃঙ্খলা করেন তাহলে এদেশের মানুষ দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে। রাজনীতির চিরবিদায় দেবে।’

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের মতে, ‘খালেদা জিয়া নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে লন্ডন গেছেন।’

অবশ্য এর জবাবে বিএনপি নেতারা এখনো সেভাবে নিজেদের জড়ায়নি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নেত্রী চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন। লন্ডনে তার বড় ছেলে তারেক রহমান রয়েছেন। সেখানে তিনি ছেলে ছাড়াও নাতনিদের সঙ্গে দেখা করবেন৷’

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানতো বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। ফলে তাদের দু’জনের দেখা হলে রাজনীতি নিয়ে তো কিছু আলোচনা হতেই পারে৷ সেটাকে অত বড় করে দেখার কিছু নেই। তাই এটাকে কোনভাবেই রাজনৈতিক সফর না ভেবে চিকিৎসা ও পারিবারিক সফর হিসেবে দেখাই শ্রেয়। আর দেশেতো রাজনীতি করার কোনো পরিবেশই নেই৷ ফলে এসব আলোচনা অবান্তর।’

বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ম্যাডাম লন্ডনে গেছেন মূলত চিকিৎসার জন্য। এর পর কিছুদিন ছেলে তারেক রহমান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে সময় কাটাবেন তিনি।

‘তারেক রহমান তো সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। তার সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা হওয়াই স্বাভাবিক। তাদের মধ্যে এখনকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও দলের ব্যাপারে আলোচনা হবে বলেও আমি মনে করি’। তবে এই সফরে লন্ডনে কোনোরকম বৈঠক, সমাবেশ বা মতবিনিময় এখন পর্যন্ত নির্ধারিত নেই।

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের মতে, ‘দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ম্যাডামের সাক্ষাতটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, দলের সারাদেশের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সেটাই প্রত্যাশা করে এবং এর মাধ্যমে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবেন।’

এদিকে সরকারের মন্ত্রী ও নেতাদের বক্তব্য অনুসারে ধরেই নিলাম খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র করতে বিদেশে গেছেন। তবে এসবের তথ্য-প্রমাণ কোথায়? সরকারের কাছে তা থাকলে জনগণের সামনে প্রকাশ করা উচিত এবং সে বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এতে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। আর আমার মতে, খালেদা জিয়া যদি বিদেশে বসেই এত গভীর ষড়যন্ত্র করতে সক্ষম হন, তাহলে গেল সাড়ে আট বছরে তো দেশের বারোটা বাজানোর কথা ছিল। কই এত দিনেও তো সরকারের কিছুই করতে পারেননি। ফলে সরকারের শীর্ষ কর্তাদের এসব বক্তব্য কী করে আমরা সাধারণ জনগণ বিশ্বাস করতে পারি?

অবশ্য লন্ডনে বসে খালেদা জিয়া কী করছেন, কোথায় কি বলছেন এসব গোপন কিছু নয়।বর্তমান এই অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে মিডিয়ার কল্যাণে আমাদের সবার কাছেই তা খুবই পরিষ্কার। তাই আমাদের রাষ্ট্রের হর্তাকর্তা ও রাজনীতিবিদদের বক্তব্য শোনে মনে কষ্ট হয়। কেননা, এসব তথ্যপ্রমাণহীন বক্তব্য যেমন যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করছে তেমনি তাদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে দায়িত্বহীন হিসেবে প্রতীয়মান করছে। ফলে জাতি তাদের কাছ থেকে আরো দায়িত্বশীল বক্তব্য আশা করে।

এইত গেল ঈদে দুই নেত্রীর ইফতারের আমন্ত্রণ ও ঈদ কার্ডের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময়ে দেশবাসী আশাবাদী হয়ে উঠেন, এই জানি দেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস ফিরছে। এতদিন যাই হয়েছে এবার সঠিক পথে হাঁটতে শুরু করেছেন তারা। কিন্তু জনগণের সেই আশাও গুড়ে বালি।

অবশ্য এ কথা সবারই জানা, আমরা দুই নেত্রীকে যতই পেছনে গালমন্দ করি না কেন, দেশের বেশীর ভাগ জনগণ কিন্তু তাদের ছায়াতলে। ফলে দুই নেত্রীর প্রতি রয়েছে দেশের জনগোষ্ঠীর এক বিশাল অংশের জনসমর্থন। ফলে ইচছা করলেই কেউ কাউকে দমাতে পারবে না, এটাই বাস্তবতা।

তবে রাজনীতিতে যে অবস্থা চলছে তা অব্যাহত থাকলে বলা যায়- অঘোষিতভাবেই আবারো প্রতিহিংসার রাজনীতির প্রভাবে হানাহানি শুরু হতে পারে। আর এতে করে কী হবে- আবারো দেশে ফিরে আসবে সেই পুরনো রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা এবং হরতাল অবরোধ।যা কোনোভাবেই দেশবাসীর কাম্য নয়।

তাই আজ মনে পড়ে গণতন্ত্র সম্পর্কে আব্রাহাম লিংকনের সেই কথা ‘By the people, of the people and for people’। আমরা যদি গণতন্ত্রের প্রতি সামান্যতম বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা রাখি তবে সবাইকে সেই চর্চা করার সুযোগ দেয়া উচিত। আলোচনার মাধ্যমে সব সঙ্কট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। অন্যথা, এহেন প্রতিহিংসার রাজনীতি দেশের তো নয়ই, কোনো পক্ষেরই যে লাভ হবে না, তা আমরা অতীত থেকেই শিক্ষা নিতে পারি। সর্বোপরি, দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে শত রাজনৈতিক মতবিরোধের মধ্যেও কিছু মৌলিক প্রশ্নে সব পক্ষকে একমত হতে হবে। তবেই জাতির বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষিত এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন