মাঠে বিএনপি ও আ'লীগ, পিছিয়ে নেই জামায়াত

  22-08-2017 07:06AM

পিএনএস ডেস্ক: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে, পিছিয়ে নেই জামায়াত।

মুন্সীগঞ্জ ৩ টি আসনের মধ্যে একটি গুরুত্ব পূর্ন আসন হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ-১ আসন। শ্রীনগর, সিরাজদিখান দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ-১ আসন। এখানে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনে রয়েছে প্রকাশ্য বিরোধ। বিএনপি ও আওয়মী লীগের মধ্যে রয়েছে পাল্টাপাল্টি কমিটিও। তবে এ আসনে বিকল্পধারা, জাতীয় পার্টিসহ বামদলগুলোর ভোট হাতে গোনা।

তৃতীয় স্থানে আছে জামায়াতে ইসলামী। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে স্বাধীনতা পরবর্তী বছরের পর সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের আধিপত্য ছিল। বি. চৌধুরী বিএনপি থেকে ৫ বার এবং তার ছেলে মাহী বি. চৌধুরী ১ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০০৮ সালে পরাজয়ের পর বি. চৌধুরী ও মাহী বি. চৌধুরী এলাকায় খুব একটা আসেননি। অন্য দিকে শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন বিএনপিতে যোগ দেওয়ায় নিজেকে ধরে রাখতে পেরেছেন। তবে বর্তমানে বিএনপি দলের মধ্যে প্রকাশ্য কোন্দল রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্যপ্রার্থী তালিকায় শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এবং শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মমিন আলী, তিনি ২০০৪ সালে নির্বাচনে বিএনপির টিকিট পেয়ে বিকল্পধারা প্রার্থী মাহী বি. চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।

এ ছাড়া বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আরো রয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু ও সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিল্পপতি শেখ মো: আব্দুল্লাহ। তবে মীর সরফত আলী সপু পক্ষে রয়েছেন বেশির ভাগ নেতাকর্মী।

এছারা দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন এমনটা নিশ্চিত করে বলছেন তার সমর্থকেরা। মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে সাধারণ জনগণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির।

দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতীক ভাবে মাঠে রয়েছেন। ফলে তরুনদের একটা বড় অংশ তর সথে রয়েছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি এলাকায় প্রচার-প্রচারণা ও দলীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করাতে গ্রহণযোগ্যতার দিক দিয়ে তিনি অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন।
অন্য দিকে প্রার্থী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের প্রেসিডেন্ট নুরুল আলম চৌধুরী।

তিনি রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত ব্যবসায়ী। নুরুল আলম চৌধুরী জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত সংগঠনের সিপিআই। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে দলীয় নমিনেশন চেয়ে আসছেন।

জনগণের সাথে তার এখনো যোগাযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মহিউদ্দিন আহাম্মেদ।

এ আসনে জামায়াতে ইসলামী থেকে ডাঃ আঃ লতিফ হাওলাদার প্রার্থী হতে পারেন। সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী’র মধ্যে হবে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই। এ ক্ষেত্রে বিকল্পধারার প্রার্থী হবেন ডা: বি. চৌধুরী ছেলে মাহী বি. চৌধুরী। তবে অনেকেই বলছেন, জোটবদ্ধ নির্বাচন ছাড়া তারা নির্বাচন নাও করতে পারেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন