পিএনএস ডেস্ক: ক্ষমতাসীন সরকারের যেসব মন্ত্রী, নেতাকর্মী ও তাদের আত্মীয় স্বজন বিদেশে ৮৬ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন তারও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চলা এসব তদন্ত সময়মতোই জনগণের সামনে প্রকাশ হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের ভুল নীতির কারণেই প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন রোহিঙ্গা বৃদ্ধ ও শিশু মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় নাগরিক সংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বলেন, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন বৃদ্ধ ও শিশু রোহিঙ্গা মারা যাচ্ছে। সরকারের নীতির কারণে তারা মারা যাচ্ছে। এজন্য বাইরে থেকে যে ত্রাণ আসবে তা বিতরণের বিষয়ে গণমাধ্যমে যাতে জানতে না পারে, কারণ সেখানে লুটপাটের একটি সুযোগ থাকবে। আর বিএনপি ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠন ত্রাণ নিয়ে সেখানে যাতে যেতে না পারে, সরকার সেই ব্যবস্থাও করেছে। অর্থাৎ অং সান সূচির কর্মকান্ডের সাথে শেখ হাসিনার কর্মকান্ডের কোনো গরমিল নেই। একই কর্মকান্ড।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা শিশুদের গলা জড়িয়ে ধরে আপ্লুত হচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসলে তিনি খুশিতে আপ্লুত হচ্ছেন।
উনার মনের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। সুতরাং রোহিঙ্গা বেঁচে আছে না মরে গেছে সেটা দেখতেই প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার গিয়েছিলেন- বলে মনে করেন রিজভী। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র ও বর্তমান প্রেক্ষাপট' শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সূচির বাবা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, অং সান সূচি আজ পিতার মতামতকে লঙ্ঘন করে পিশাচদের পথ অবলম্বন করছেন। ঈদের পর থেকে গুম ও গ্রেফতার হওয়া বিএনপি নেতাদের তালিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে আবারো গুম ও গ্রেফতার বৃদ্ধি পেয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতেই এগুলো করা হচ্ছে। হঠাৎ করে গুম ও গ্রেফতার ঘটনার পিছনে সরকারের কোনো খারাপ কাজের উদ্দেশ্য এবং ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করেন রিজভী।
পিএনএস/আনোয়ার
‘সরকারের টাকা পাচারের তদন্ত চলছে’
15-09-2017 03:48PM