শনিবার বগুড়ায় বিএনপির হরতাল

  21-09-2017 04:27PM

পিএনএস ডেস্ক : বগুড়ায় নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রতিবাদে শনিবার অর্ধ দিবস হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা বগুড়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুক্রবার থেকে ৯দিনের ধারাবাহিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দেন।

নাশকতার একটি মামলায় অভিযুক্ত জেলা বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বগুড়ার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এমদাদুল হকের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের ওই আদেশের পর পরই জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা আদালত চত্বরের বাইরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম জানান, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে শহরের বারপুর এলাকায় আলু বোঝাই একটি ট্রাকে হামলা ও ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ট্রাকের চালক ও হেলপার আহত হন। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।

তিনি বলেন, এহাজারে জেলা বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলামের নাম না থাকলেও পরবর্তীতে ভাংচুর ও বিস্ফোরক আইনে দাখিল করা পৃথক দুটি মামলার চার্জশীটে তাকে অভিযুক্ত দেখানো হয় এবং ওয়ারেন্টও ইস্যু করা হয়।

বগুড়া জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেদ জানান, জেলা বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দরের আদালতে হাজির হয়ে গাড়ি ভাংচুর মামলায় জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানী শেষে আদালত তাকে জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর তিনি বিস্ফোরক মামলায় স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর বিচারক এমদাদুল হকের আদালতে হাজির হয়ে একইভাবে জামিন আবেদন করেন। তবে শুনানি শেষে আদালত ওই আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন জানান, সম্পূর্ণ রাজনৈতি কারণে জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, তার মুক্তির দাবিতে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল ও শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকরা হবে। যদি এসময়ের মধ্যে তাকে মুক্তি দেওয়া না হয় তাহলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মোহাম্মদ শোকরানা, সহ-সভাপতি আলী আজগর হেনা, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম উপস্থিত ছিলেন।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন