‘প্রধান বিচারপতির কুকীর্তি মেনে নেয়া হবে না’

  14-10-2017 01:56PM



পিএনএস ডেস্ক: বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ আখতার হোসেন বুখারী বলেছেন, ‘মহান সংসদে পাসকৃত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলকারী, বঙ্গবন্ধুকে অবমাননাকারী, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে রানা দাসগুপ্ত-সুব্রতদের সাথে রুদ্ধদ্বার সরকারবিরোধী বৈঠককারী, জাতিকে বিভক্তকারী ও চরম বিতর্কিত প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা অস্ট্রেলিয়া চলে গেলেও তার প্রধান কুকীর্তি গ্রিক দেবী থেমিসের মূর্তি সুপ্রিম কোর্টে থাকবে তা কোনোভাবে মেনে নেয়া হবে না।’

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমাননা ১৩ দলের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার দুর্নীতি জালিয়াতিসহ অগনিত কুকীর্তির মধ্যে প্রধান কুকীর্তি হল হলো সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপন। এর মাধ্যমে সে জাতিকে বিভক্ত করেছেন। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। সরকারকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। এই বিতর্কিত প্রধান বিচারপতির দায়ভার সরকার কোনোভাবেই বহন করবে না।’

মায়ানমারের চলমান রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে আরাকানে শান্তিরক্ষী বাহিনি মোতায়েন করতে হবে। মায়ানমারের উপর আস্থা রাখতে না পারায় আরাকানে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। মায়ানমারের উপর অর্থনৈতিক ও সামরিক অবরোধ আরোপ করতে হবে। বর্বর মায়ানমার সেনাবাহিনীর বিচারে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে।’

ওলামা লীগের এই সভাপতি বলেন, ‘সরকার পতনে জড়িত মোসাদ-উগ্র হিন্দুদের অপতৎপরতা নস্যাৎ করতে হবে। এদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী আইনে গ্রেপ্তার করতে হবে। মোসাদের সাথে জড়িত নবগঠিত সাম্প্রদায়িক সংগঠন বিজেপি, বিএমজেপিসহ উগ্র হিন্দু সাম্প্রদায়িক সংগঠনগুলোর দেশবিরোধী প্রপাগান্ডা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নোবেল কমিটি তুলনামূলক মূল্যহীনদের নোবেল দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে নোবেলের জন্য মনোনীত করেননি। এটা গোটা নোবেল কমিটিকেই বিতর্কিত করেছে। অথচ শান্তিতে নোবেল পাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেননা তিনি যেভাবে লাখ লাখ মজলুম রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন, খাওয়া পড়ার ব্যবস্থা করেছেন। রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি যে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। তাই অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করতে হবে। মানবতার ইতিহাসে বিরল নজিরসৃষ্টিকারী প্রধানমন্ত্রী মাদার হাসিনা হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে।’

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, ওলামা লীগের দফতর সম্পাদক মাওলানা শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী প্রমুখ।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন