বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার ক্ষমতা কারো নেই: দুদু

  21-10-2017 05:25PM

পিএনএস ডেস্ক: বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায় বলে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ‘দেশের চলমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসার দু’টি পথ আছে। একটি নির্বাচন অন্যটি গণঅভ্যুত্থান। আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু আমাদের নির্বাচনে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তবু আমরা নির্বাচনে যাবই। বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার ক্ষমতা কারো নেই।’

শনিবার সেগুনবাগিচাস্থ স্বাধীনতা হলে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: বন্ধু রাষ্ট্রের ভূমিকা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনে যাব। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি, কারও কোনও ক্ষমতা নেই বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার। কারণ সামনের যে নির্বাচন, সে নির্বাচন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো হবে না। এই নির্বাচন হবে গণনির্বাচন।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘অর্থনৈতিক লুটপাট, নির্মম হত্যাকাণ্ড, অপহরণের যে সংকট, এই দেশটাকে রসাতলে নিয়ে যাওয়ার যে সংকট, এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের একটি পরিবর্তন দরকার। সে পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিবে বিএনপি। সেই দলের নেত্রী চিকিৎসা শেষে ৩ মাস পর লন্ডন থেকে দেশে এলেন। দলীয় নেতাকর্মীরা যেন তাকে অভ্যর্থনা দিতে না পারে, তার জন্য বাস বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার, লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাই সরকারকে বলব, লাইট বন্ধ করে লাভ কী? খালেদা জিয়া তো অন্ধকারেও আলো। তিনি অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকলেও বাংলাদেশের মানুষ তাকে দেখতে পায়।’

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শেখ হাসিনা পদত্যাগ করা মাত্রই দেশে রোহিঙ্গা সংকট ও লুটপাটের সমাধান হবে, আইশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণের দাবি, তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধান হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বন্ধুহীন একটি দেশ। বাংলাদেশের কোনও বন্ধু নেই। পাশের বাড়ির যে বন্ধুটা ছিল, যাকে আমরা পরীক্ষিত বন্ধু বলি, তিনিও এখন অন্যের হাত ধরে ফেলেছেন। কতই না তাদের খাওয়ালাম, প্রেম ভালোবাসা করলাম। কিন্তু বন্ধু আমাদের রোহিঙ্গা সংকটের সময় খুব দ্রুত মিয়ানমারের প্রধান রাষ্ট্রীয় পরামর্শদাতা অং সান সু চির হাত ধরে ফেললেন। মোদী একটি সাম্প্রদায়িক দেশের নেতা। যারা তাজমহলও ভাঙতে চায়, তার দেশে নির্বিচারে মুসলমানদের হত্যা করা হয়।’

সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও অংশ নেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিএনপি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম প্রমুখ।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন