‘দলীয়করণ ও ঘুষ বাণিজ্যে ধ্বংসের পথে শিক্ষা ব্যবস্থা’

  22-10-2017 02:10PM

পিএনএস ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, সরকার দেশের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে একে একে ধ্বংস করছে। এখন সবচেয়ে বেশি নৈরাজ্য চলছে শিক্ষাখাতে। দলীয়করণ করে শিক্ষার মান ধ্বংস করা হচ্ছে। ঢাবিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধাবীদের রেখে ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে দলীয় ক্যাডারদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে শুরু করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ধ্বংস করার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ভোটারবিহীন সরকার।’

তিনি বলেন,‘বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এখন মরণব্যাধির নাম প্রশ্নপত্র ফাঁস। এটা যেন এখন ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য হয়ে পড়েছে। এর পেছনে সরকারি দলের রাঘব বোয়ালরা জড়িত থাকায় কোনওভাবেই প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির মূল হোতারা ক্ষমতাসীন দলের লোক হওয়ায় আজ পর্যন্ত এসব ঘটনার বিচার হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিগত ১০ বছর ধরে প্রশ্ন ফাঁসে যে ক্ষমতাসীনরা জড়িত, তার উজ্জল দৃষ্টান্ত হলো গত শুক্রবার ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক রানা, হল শাখার নাট্য সম্পাদক মামুনসহ ১৫ জন গ্রেফতার। এতে প্রমাণিত হলো দেশজুড়ে সকল প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির মূল হোতা আওয়ামী লীগ ও তার দলের লোকেরা।’

রিজভী বলেন, ‘উন্নয়ন মানে তো শুধু রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও অবকাঠামো উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন মানে হচ্ছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা।

অথচ সন্ত্রাস, দখল, মহাদুর্নীতি নির্ভর শেখ হাসিনার শাসন আইনের শাসনকে মহাশুন্যে পাঠিয়ে দিয়েছে। আর সেটি যাতে ফিরে না আসে সেই জন্য সংবিধানের অভিভাবক সুপ্রিম কোর্টের ওপর আওয়ামী দুঃশাসনের আঘাত প্রসারিত হয়েছে। সংবিধানের অভিভাবক সুপ্রিম কোর্ট ও সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে কীভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, তা শুধু বাংলাদেশিরাই নয় বিশ্ববাসী বিস্ময়ের সঙ্গে দেখেছে। আওয়ামী সরকার এখন নিজেদের বেআইনি দুর্বৃত্তপনাকে জায়েজ করতে নিজেরাই একটা অনড় আইনি সজ্ঞা দাঁড় করাচ্ছে।’

বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার দুঃস্বপ্ন দেখছে-ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘তাহলে কি আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার দিবাস্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আপনারা ইসিকে আওয়ামী মার্কা নির্বাচন করার প্রচেষ্টায় মশগুল। আপনার বক্তব্যেই প্রমাণিত হয় আপনারা নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করার নীলনকশা আঁটছেন। কারণ প্রধান নির্বাচন কমিশনার একটি ঐতিহাসিক সত্য উচ্চারণ করতেই আপনারা বিচলিত হয়ে পড়েছেন।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অতীতে যাই করুন না কেন, এখন জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজ করতে পারলে ইতিহাসে তার স্থান ইতিবাচক হবে বলেও মন্তব্য করেন রুহুল কবির।

পিএনএস/কামাল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন