খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক

  24-10-2017 12:18AM

পিএনএস ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়েছে সোমবার রাত ৯টায়। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটি সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন তিনি।

খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

লন্ডন সফর শেষে দেশে ফেরার পর নীতিনির্ধারকদের নিয়ে এটিই প্রথম বৈঠক করছেন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে আটকে থাকা দলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

বিচারাধীন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিচারকাজে হস্তক্ষেপের সামিল: খালেদা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘হয়রানি করতেই উদ্দেশ্যেমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। যা পুরোপুরি কাল্পনিক ও বানোয়াট। আর বিচারাধীন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিচারকাজে হস্তক্ষেপের সামিল।’

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে অরফানেজ মামলার আত্মপক্ষ শুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।

শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন আগামী ২৬ অক্টোবর।

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদনের পর জামিন পান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। একই সাথে অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে নিষেধ করেছেন আদালত।

বৃহষ্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারের কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামানের আদালতে ১১ টা ১৭ মিনিটে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত দুই লাখ টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জিয়া উদ্দিন জিয়ার মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিষ্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, খালেদা জিয়া জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেননি। তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। তিনি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, জামিন দিলে পলাতক হবেন না।

এর আগে ১২ অক্টোবর আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এই দুই মামলাই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালত।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাড. সানাউল্লাহ মিয়াও একই তথ্য জানিয়ে বলেন, চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলেন খালেদা জিয়া। বুধবার বিকেলে তিনি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে এ দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাকে জামিন দেন।

গত ১২ অক্টোবর মামলা দুটিতে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির কার্যক্রম শেষ করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ঠিক করে দেন। আর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি জেরার পর্যায়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত।

পিএনএস/কামাল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন