সেনা মোতায়েন নিয়ে ইসি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: খসরু

  17-11-2017 12:15PM

পিএনএস ডেস্ক:আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে ‘বিভ্রান্তিমূলক’ বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘আগামী প্রজন্মের নেতৃত্ব এবং তারেক রহমান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক সংসদ নামের একটি সংগঠন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খালেদা ইয়াসমিন।

সম্প্রতি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে এটা নিশ্চিত, তবে কী প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনী কাজ করবে সেটা এখনো নির্ধারণ হয়নি। তবে তাঁর এই বক্তব্যের একদিন পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসকে বলেন, আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কি না এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ইসি মাহবুবের বক্তব্যকে তিনি ‘ব্যক্তিগত মত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

আমির খসরু মাহমুদ বলেন, ‘সংসদ বহাল রেখে এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া কোনো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না বিএনপি।’ এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনকে বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য প্রচার না করতে সতর্ক করে দেন।

খসরু বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা কোনো নির্বাচন প্রক্রিয়া চাচ্ছে না, তারা চাচ্ছে যেকোনো প্রক্রিয়ায় দখল করে হলেও আবার ক্ষমতায় আসতে।’ এজন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সেনাবাহিনীর ক্ষমতা নিয়ে অপব্যাখ্যা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার দুটি দিক আছে। একটি হলো বিচারিক ক্ষমতা, আরেকটি হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষমতা। আমরা বিচারিক ক্ষমতা চাচ্ছি না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষমতা চাচ্ছি। এই ক্ষমতা একজন পুলিশ কমিশনারেরও থাকে।’

নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনী জড়িত হওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের সেনাবাহিনী আফ্রিকার বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করে। এই সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব না দিলে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তায় বিশৃঙ্খলা ঠেকানো যেত না। আমরা দেখেছি রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করায় দুর্যোগ কাটিয়ে উঠা অনেক সহজ হয়েছে।’ দেশ ও জাতির স্বার্থে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়ও সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন। তাঁর নেতৃত্ব কেমন হবে সেটা আমরা অতীতের নেতৃত্ব থেকে কিছুটা ধারণা পাই। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করে চারদলীয় জোট সরকারকে নিরঙ্কুশ বিজয় এনে দেন। আমাদের এয়ারপোর্টের যে এতো সৌন্দর্য এটা সরাসরি তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে হয়েছে। দেশের কোন জেলা-উপজেলায় কতটা ব্রিজ-কালভার্ট লাগবে সবকিছু তারেক রহমানের নখদর্পণে আছে।’ আগামী দিনে তারেক রহমান নেতৃত্বের সুযোগ পেলে দেশ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন