`বিএনপি নেতা হত্যা আ.লীগের রাজনীতির অংশ'

  15-12-2017 01:59AM

পিএনএস ডেস্ক: চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল থেকে পরিবহন ব্যবসায়ী ও যুবদল নেতা হারুন চৌধুরীকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, বিএনপি ও যুবদল নেতাদের হত্যা করা আওয়ামী লীগের রাজনীতির একটি অংশ। প্রয়াত হারুন চৌধুরীর বাসায় বৃহস্পতিবার সকালে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আমীর খসরু। এ সময় নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি নেতা আরো বলেন, দিনদুপুরে হারুন হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন পরও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কারা করেছে এ ব্যাপারে তো সন্দেহ নাই। তাহলে গ্রেপ্তার করতে অসুবিধা কোথায়? শোকসভা করতে অসুবিধা কোথায়? প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছি না। সুতরাং আমি পরিষ্কার করে বলছি যদি তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা না হয়, তাহলে জনগণ মেনে নেবে না। তার দায়-দায়িত্ব এখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিতে হবে।

বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল থেকে তো গুলি করেছে। এটা আওয়ামী লীগের রাজনীতিরও একটি অংশ। মিছিল থেকে গুলি করেছে তো এবং একটা লোক প্রতিবাদ করে নাই। ওখানে স্থানীয় কাউন্সিলর উপস্থিত ছিল, নেতৃবৃন্দ ছিল, একটা লোক প্রতিবাদ করে নাই। তাদের সামনে গুলি করে মেরে ফেলেছে।

উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের কদমতলী এলাকায় পরিবহন ব্যবসায়ী ও সদরঘাট থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের সময় স্থানীয় যুবলীগের একটি আনন্দ মিছিল ঘটনাস্থল অতিক্রম করে। মিছিলটি হারুনের অফিস অতিক্রম করামাত্র কয়েকটি গুলির শব্দ পাওয়া যায়। এরপর গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হারুন।

অবৈধ সরকারের দেয়া বাজেটও অবৈধ: আমীর খসরু

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘একটি অনির্বাচিত সংসদের অবৈধ সরকার তথাকথিত বাজেট দিয়েছে। এই অবৈধ বাজেটকে আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি।’ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ফোরাম আয়োজিত ‘নরেন্দ্র মোদির নতুন সরকার: বাংলাদেশ-ভারত সর্ম্পক কেমন হওয়া উচিত’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘একটি অনির্বাচিত সংসদে অবৈধ সরকার তথাকথিত বাজেট পেশ করেছে। আমরা এই অবৈধ বাজেট প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা অবৈধ বাজেটকে অবৈধ বলেই যাব।’

তিনি বলেন, বিশ্বের সকল গণতন্ত্রকামী দেশ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিরোধিতা করেছে। এ নির্বাচন নিয়ে ভারতের সঙ্গে ওই দেশগুলোর সম্পর্কে টানাপোড়েন হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার তাদের অতীতের সরকারের কলঙ্কের বোঝা বইবে কিনা এটা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। অথচ মোদির আগের সরকার বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে দেয়নি। তাই আজ জাতি হিসেবে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি কী হবে।’
আওয়ামী লীগের জনসমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে যদিও তাদের কিছুটা জনসমর্থন থেকে থাকে নির্বাচনের পর সেটাও তাদের নাই।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সর্ম্পক ভালো হবে। তবে মোদি নির্বাচিত হওয়ায় অনেকে খুশি হলেও আমি খুশি হতে পারিনি। কারণ আমি মুসলমান।’ তিনি বলেন, ‘মোদি যদি আমাদের অধিকার আমাদের বুঝিয়ে দেয় তাহলে কোনো সমস্যা নেই। তবে আমার মনে হয় না তারা এটা করবে। সত্যি কথা হচ্ছে, আমাদের স্বার্থসিদ্ধি হলে ভারতের সঙ্গে আমাদের সর্ম্পকও ভালো থাকবে।’

বাজেট প্রসঙ্গে সাবেক এই উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবৈধ পিতার সন্তান যেমন অবৈধ হয়, তেমনি অবৈধ সরকারের এই বাজেটও অবৈধ।’

জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, ‘দেশ হিসেবে ছোট হতে পারি, কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা ছোট নই। আমরা ভারতের সাথে যুদ্ধ চাই না, কিন্তু ভারতের দাসত্ব আমরা মেনে নেব না।’
নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লা-হিল মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদ, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবদুল মোবিন, সংগঠনের সদস্য জহির আলী, নাজির হোসেন প্রমুখ।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন