রবিবারই খালেদা জিয়ার জামিন হবে: মওদুদ

  23-02-2018 02:30PM

পিএনএস ডেস্ক: আগামী রবিবারই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদী সংহতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশটির আয়োজন করা হয়।

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘বেগম জিয়ার জামিনের জন্য আমরা আপিল ফাইল করেছি। আগামী রবিবার জামিন আবেদনের শুনানি হবে। জামিন পাওয়ার তাঁর অধিকার। তবে আমাদের বিচারের যে, নিয়মনীতি আছে, সেই নিয়মনীতিতেই রবিবারই বেগম জিয়ার জামিন মঞ্জুর হবে।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের জন্য আমরা ধৈর্য সহকারে রায়ের কপির জন্য অপেক্ষা করেছি। শেষ পর্যন্ত তারা (সরকার) দিতে বাধ্য হয়েছে। এরপরও সরকার নানা রকম কূটকৌশলে বিলম্ব করেছে।’

বাংলাদেশের মানুষ এখন পরিবর্তন দেখতে চায় মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, ‘এ পরিবর্তন তাদের আকাঙ্খা। আর তাদের আকাঙ্খা পূরণের জন্যই আমাদের (বিএনপি) আন্দোলন করতে হবে। এ আন্দোলন সফল হবে।’

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখাবো, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেও একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা যায়। আর একদিন আসবে বিএনপির নির্বাচনের মাঠে নামলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে যাবে। এটা আমি বিশ্বাস করি। কারণ কােন মানুষই এ সরকারকে আর দেখতে চায় না।’

বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘এক দল নির্বাচনের ভোট চাচ্ছে। আরেক দলের নেত্রী জেলে আছেন। এতেই বুঝা যায়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কি অবস্থা। এটাই হচ্ছে, আজকে সবচেয়ে বড় ট্র্যাডেজি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে সত্য শুনতে চাই। এদেশের তরুণরা তাঁর মুখ থেকে সত্য শুনতে চায়। মিথ্যাচার শুনতে চায় না। আপনি আমাদের সমালোচনা করুন। কিন্তু এমনভাবে বক্তব্য দেবেন না যেটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তরুণরা কি শিখছে, কি জানছে।’

‘সরকার জানে তাদের জনপ্রিয়তা একবারেই নেই। আগামী নির্বাচনে তাদের পরাজয় নিশ্চিত। এ জন্য সরকার খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করেছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে, মামলা দিচ্ছে, গুম-খুন করছে’ যোগ করেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাখা হয়েছে বিরোধীদলকে দমন করার জন্য। তাদের এই একটাই কাজ। তারা হত্যা, ধর্ষণসহ সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অপরাধ দমনে কোনো কাজ করছে না। তাদের এটাই শেখানো হচ্ছে।’

‘খালেদা জিয়ার দূরদর্শী নির্দেশনায় আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরকার খুশি নয়। সরকার চেয়েছে আমাদের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের উসকানি দেবে। আর তারা সে সুযোগে পেট্রোল পাম্প জ্বালাবে, অগ্নিসংযোগ করবে। আর তাঁর দায় আমাদের উপর চাপাবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলে আওয়ামী লীগের নৌকায় ভোট চাওয়া বন্ধ করতো। নইলে আমাদেরও সভা-সমাবেশ, ভোট চাওয়ার সুযোগ দিতো। আমাদের অধিকার আমাদের দিতো। আমাদের এ সুযোগ না দিলে বুঝবো নির্বাচন কমিশন আবারো একদলীয় নির্বাচন করতে চায়। আর আমরা সে সুযোগ দেবো না।’

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে এ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরী, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার প্রমুখ।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন