‘বছর যায় বছর আসে অবৈধ সরকার শুধু ভারতকে দিয়েই যায়’

  24-05-2018 02:08PM


পিএনএস ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বছর যায় বছর আসে আর বাংলাদেশের অবৈধ সরকার শুধু একতরফাভাবে ভারতকে সবকিছু দিয়েই যাচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য পানির হিস্যা বুঝে পাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরে বাংলাদেশের মানুষের বহু প্রতিক্ষিত তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কোন এজেন্ডা নেই জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বিগত আট বছরে শেখ হাসিনা ভারত থেকে এক বালতি পানিও আনতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, আগামীকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলেও গণমাধ্যমে খবর এসেছে। কিন্তু শেখ হাসিনার এবারের সফরেও বাংলাদেশের মানুষের বহু প্রতিক্ষিত তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কোন এজেন্ডা নেই। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

তিনি বলেন, বছর যায় বছর আসে আর বাংলাদেশের অবৈধ সরকার শুধু একতরফাভাবে ভারতকে সবকিছু দিয়েই যাচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য পানির হিস্যা বুঝে পাচ্ছে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে সার্বভৌমত্বকে ক্ষয়িষ্ণু করে ভারতকে সব কিছু উজাড় করে দিয়ে যাচ্ছেন, বিনিময়ে কিছুই পাননি। পরদেশের কাছে সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছেন শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকা। প্রধানমন্ত্রী জনগণকে ধোঁকা দেয়ার বিদ্যাটাই ভাল করে রপ্ত করেছেন।

তিনি বলেন, মূলত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশ অনিশ্চিত করে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার জন্যই বাংলাদেশের জনপদের পর জনপদ রক্তাক্ত করা হচ্ছে।

এসময় তিনি বলেন, মাদকের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক কিন্তু বিচারবর্হিভূতভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা নয়। কিন্তু প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা হচ্ছে না। গতকালও সরকারের শরীক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশষদূত বলেছেন, মাদক সম্রাটরা সংসদেই আছে তাদের ধরে বিচার করুণ। গণমাধ্যমেও মাদকের গডফাদারদের তালিকা প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু তাদের ধরা হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, মানুষ হত্যা করে কোন দিন মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। এর পিছনে সরকারের অসৎ উদ্দশ্য আছে। আমরা শুরু থেকেই বলেই আসছি মাদক নির্মূল সরকারের উদ্দেশ্য নয়। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দল নিধনের জন্যই মাদক বিরোধী অভিযানের নামে দেশজুড়ে বিচারবহির্ভূত মানুষ খুনের জোরেশোরে ধুমধাম চলছে। বে আইনি হত্যার মাধ্যমে দেশবাসীকে আতঙ্কিত করার ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে তা হলো একটি রক্তাক্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষ ভয় পাইয়ে দেওয়া যাতে তারা অবৈধ সরকারের অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহসী না হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করাই তাদের নীল নকশা।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন