আমি ইয়াবা সিন্ডিকেটে নই, এর সাথে মিডিয়া জড়িত: বদি

  24-05-2018 05:43PM

পিএনএস ডেস্ক: দেশে ইয়াবা ব্যবসার সিন্ডিকেট মিডিয়া ও প্রশাসনের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন কক্সবাজার-৪ আসনের বিতর্কিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এমপি বদি বলেন, গত এক দশকে হাজার হাজার মানুষ ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়েছে। কিন্তু কোনো ব্যক্তি কোনো দিনও আমার নাম বলেনি। আমি যদি ইয়াবা ব্যবসা করতাম তাহলে অবশ্যই আটক পাচারকারীরা আমার নাম বলতো।

দেশের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, দেশের যেকোন নাগরিক, সাংবাদিক বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য যদি আমার ইয়াবা ব্যবসা বা কোন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা দেখাতে পারেন তাহলে যেকোন ধরনের শাস্তি মাথা পেতে নেব।

এসময় জীবনেও ধূমপান বা মাদক গ্রহণ করেননি এবং শরীরে কোনো ধরনের অবৈধ আয়ের ছোঁয়া লাগে না বলেও দাবি করেন তিনি।

সংসদ সদস্য বদি জানান, ২০০২ সালে টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হওয়ার পর থেকেই তিনি চোরাচালান ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার। মাদক ব্যবসায়ীর সাথে কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও কিছু সাংবাদিক জড়িত হয়ে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেট কৌশলে তাকে মাদকসম্রাট বানিয়েছে।

ইয়াবা পাচারকারী তালিকায় তার পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম কেন আসলো জানতে চাইলে বদি বলেন, প্রশাসন ও মিডিয়ার সমন্বয়ে গড়ে উঠা ইয়াবা সিন্ডিকেট নিজেদের আড়াল করতে তার ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যদের ইয়াবা পাচারকারী বানাচ্ছে।

তিনি বলেন, তার পরিবারের কোনো সদস্য ইয়াবা ব্যবসা করলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হতো। কিন্তু দেশের কোনো থানায় তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে ইয়াবা নিয়ে কোনো মামলা নেই বলে দাবি করেন বদি।

তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় কয়েকবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের এই এমপি বলেন, ইয়াবা এখন চট্টগ্রামকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। সাগর পথে ইয়াবা সরাসরি চট্টগ্রামে চলে যায়। ইতোমধ্যে সেখানে ইয়াবার বড় বড় চালানও ধরা পড়েছে। আটক ইয়াবা পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ইয়াবার মালিক বা গডফাদারদের নাম বের করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান সম্পর্কে বদি বলেন, এর কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেছে। অভিযানের ফলে টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। পালিয়ে যাওয়া ইয়াবা ব্যবসায়ীরা যাতে আর কোনোদিন এই ব্যবসায় আসতে না পারে সেই জন্য অভিযান দীর্ঘমেয়াদি করতে হবে।

এসময় ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতও জড়িত অভিযোগ করে আবদুর রহমান বদি বলেন, উখিয়া টেকনাফের অধিকাংশ বিএনপি, ছাত্রদল ও জামায়াত নেতারা ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। তাই বিএনপি সরকারের মাদকবিরোধী অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা শুরু করেছে। অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করতে ও নিজ দলের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বাঁচাতেই বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার (বদির) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন