কারাগারেই যেভাবে কাটবে খালেদা জিয়ার ৭৪তম জন্মদিন

  15-08-2018 06:40AM

পিএনএস ডেস্ক :শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৪তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৫ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জন্মদিনের এই লগ্নে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারান্তরীণ রয়েছেন। দুর্নীতির একটি মামলায় ৬ মাস ধরে পুরান ঢাকার জীর্ণ কারাগারে রয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো জন্মদিন কারাগারে কাটছে বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম শীর্ষ এই নেত্রীর।
নেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আড়ম্বরপূর্ণ কর্মসূচির বদলে আজ সারা দেশে দোয়া মাহফিল করবে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন।

খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়ি ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুরে। তার বাবা এস্কান্দার মজুমদার বড় চাকরিজীবী ছিলেন। মা তৈয়বা মজুমদার ছিলেন দিনাজপুরের চন্দনবাড়ির মেয়ে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে খালেদা তৃতীয়। ১৯৬০ সালের আগস্টে বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত সেনাকর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তিনি বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন।
বেগম জিয়ার দ্ইু সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন এবং ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ইন্তেকাল করেছেন। তারেক রহমানের ঘরে তার এক নাতনি জাইমা ও আরাফাত রহমানের ঘরে জাফিয়া ও জাহিয়া নামে দুই নাতনি রয়েছে।

১৯৮১ সালের ৩০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দেশী-বিদেশী চক্রান্তে বিপথগামী সৈন্যদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। এর পরপরই জিয়াউর রহমানের গড়া বিএনপির রাজনীতিতে আগমন খালেদা জিয়ার। দলের নেতাকর্মীদের দাবির মুখে ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি তিনি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হন। ’৮৩ সালের মার্চে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং ’৮৪ সালের ১২ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৮৪ সালের ১ মে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।

স্বৈরাচারবিরোধী দীর্ঘ আপসহীন আন্দোলনের পর ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন খালেদা জিয়া। ১৯৯৩ সালে তিনি সার্কের প্রথম মহিলা চেয়ারপারসন হন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট জয়লাভের পর তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে। ওয়ান ইলেভেনের পর মইন-ফখরুদ্দীন সরকার ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাকে কারাবন্দী করে। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাভোগ করেন তিনি। সেবার কারাগারে জন্মদিন কেটেছে তার। কারাগারে থাকা অবস্থায় তার অনড় মনোভাবের কারণে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় ওই সরকার। পরে তারা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি কাক্সিক্ষত ফল না পেয়ে সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়। সেই থেকে সরকারি দলের দমন-পীড়ন ও মামলা-হামলার বৃত্তে বন্দী দেশের অন্যতম বৃহৎ এই রাজনৈতিক দল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন বর্জন করে তারা। এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা হয় বেগম জিয়ার। খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি এখন আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন