পিএনএস ডেস্ক :তিন আসনেই স্থগিত রাখা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র।
শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনের ১১ তলায় আপিল নিষ্পত্তির শেষ দিনে এ ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া লড়তে পারবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ মনোভাব দেখালে প্রার্থিতা ফিরে পাবেন খালেদা জিয়া এমনটা আশা করছেন তার আইনজীবীরা।
এর আগে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া হয়। তবে তিনি দণ্ডিত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেন।
গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৪৩ জন প্রার্থী আপিল আবেদন করেন ইসিতে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে এই আপিল আবেদনের শুনানি শুরু হয়। এর মধ্যে প্রথম দিন ১৬০টি আবেদনের ওপর শুনানি করে ৮০ জনের প্রার্থিতাকে বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আর গতকাল শুক্রবার ১৫০টি আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এর মধ্যে ৭৮ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। পাশাপাশি এদিন ৬৫ জনের প্রার্থিতা বাতিল এবং সাতজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন। দু’দিনে মোট ১৫৮ জন তাদের মনোনয়ন ফিরে পান।
রোববার (৯ ডিসেম্বর) বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর পর থেকে প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল। সেই সময় মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ে ৭৮৬টি বাতিল হয়। যার অধিকাংশই ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থীর। এর মধ্যে ৫৪৩ জন রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।
পিএনএস/এএ
তিন আসনেই খালেদা জিয়ার মনোনয়ন স্থগিত
08-12-2018 03:19PM