বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় পর্যায়ে নতুন কর্মসূচি দিলো বিএনপি

  22-06-2019 10:50PM

পিএনএস ডেস্ক : দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় গুলশানে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

ফখরুল বলেন, ‘আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।’

কি ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘মিছিল-সমাবেশ জাতীয় কর্মসূচি পালন করা হবে।’

বয়স সীমা প্রত্যাহার করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা যে আন্দোলন করছে সেটাকে অযৌক্তিক মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তাদের উচিত হবে অযৌক্তিক দাবির আন্দোলন বাদ দিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে চলে আসা।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর উপর বিক্ষুদ্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় ফখরুল নিন্দা প্রকাশ করেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিচালক মাসুদুর রহমান বুয়েটের ছাত্রদলের ভিপি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সর্বৈব মিথ্যা। আমরা তার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছি। তিনি বুয়েটের ছাত্র ছিলেন না, কুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র ছিলেন। ছাত্রজীবনের সম্ভবত তিনি একটি বাম সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, এ বিষয়ে আমরা জানি না। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ এর সাথে জড়িত। পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর এমন মিথ্যাচার নিন্দনীয়।’

বর্তমান সরকারের গুম-খুন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের নাতি নিখোঁজ হওয়ার পর সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ স্টেটমেন্ট দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ফিরে পাওয়ার খবর নিঃসন্দেহে তার পরিবারের জন্য স্বস্তিদায়ক। কিন্তু এম ইলিয়াস আলীসহ বিএনপির ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর নিখোঁজ রয়েছেন তাদের এখনো ফিরিয়ে দেয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সভা নিয়মিত চলবে এবং আগামী শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা আবারও বসবে।’

দলের নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান, ড. আব্দুল মঈন খান , নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন