সেই ৭২ সাল থেকেই আ.লীগ খুনাখুনি শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল

  25-08-2019 07:29PM

পিএনএস ডেস্ক : ১৯৭২ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগ খুনাখুনি শুরু করেছে এমন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের তথ্যমন্ত্রী দুদিন আগেই বলেছেন - বিএনপি একটি খুনির দল। উনি ভুলে গেছেন, ওনারা ১৯৭২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রক্ষীবাহিনী তৈরি করে বিরোধী দল যারা করতেন, তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের খুন করেছে। বিএনপির হাত কিন্তু কারও খুনের রক্তে রঞ্জিত হয়নি। বিএনপি কখনও কোনও খুনের দায়ে পরে নাই। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন করেছে, নিপীড়ন করেছে। গণতান্ত্রিক পথ সব রুদ্ধ করে দিয়েছে, তারা গণতান্ত্রিক স্পেস বলতে আর কিছু রাখেনি।’

রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত আব্দুস সালাম তালুকদারের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার সবদিকে ব্যর্থ এমন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নষ্ট করেছে। ডেঙ্গু কি আকার ধারণ করেছে! হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে।’

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকার ব্যর্থ হয়েছে এমন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত দু বছর ধরে রোহিঙ্গারা এদেশে এসেছে। তখন খালেদা জিয়া সেই লন্ডন থেকে স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছিলেন - যারা বিতাড়িত হচ্ছে মিয়ানমারে, তারা এখানে এসে আশ্রয় নিবে, তাদের আশ্রয় দিতে হবে। কিন্তু একই সঙ্গে তারা যেন সম্মান নিয়ে, নাগরিকত্ব নিয়ে দেশে ফিরে যেতে হবে সেই ব্যবস্থাও সরকারকে করতে হবে। এই দুই বছরের সরকার এতই ব্যর্থ হয়েছে যে, দিনক্ষণ ঠিক করেও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে পারলো না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সারা দেশে লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে। যেখানেই যাবেন সেখানেই দেখবেন আওয়ামী লীগের লোকজন লুটপাট ছাড়া কিছু করছে না।’

সরকার সুপরিকল্পিত ভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু গণতন্ত্র নয়, তারা রাজনীতিকে ধ্বংস করছে। ১/১১-তে যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বিরাজনীতিকরণের সেই ধারাই এখন চলছে। সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে তাদের একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই দেশে বিচার ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই, ন্যায় নীতি বলতে কিছু নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে তারা। সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দিয়ে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার সমস্ত ব্যবস্থা তারা করেছে। এটা অঘোষিত বাকশাল।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন