আতঙ্কে ঢাকার কাউন্সিলরেরা

  13-10-2019 02:32PM


পিএনএস ডেস্ক: ক্যাসিনোবিরোধী চলমান অভিযানের কারণে আতঙ্কে রয়েছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলেরা। ডিএনসিসির ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজানকে আটকের পর এ আতঙ্ক আরো বেড়েছে। বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে অবৈধ ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে তাদের অনেকেই গাঢাকা দিয়েছেন।

সরকার সম্প্রতি অবৈধ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ, যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে গ্রেফতার হওয়া দুই যুবলীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ দিকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রভাবশালী অনেক কাউন্সিলরের নাম উঠে আসে। যাদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোর পাশাপাশি মাদক ও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। যাদের অনেকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

এর মধ্যে গত শুক্রবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মোহাম্মদপুর আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান মিজানকে আটক করে র্যাব। দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও ক্যাসিনোর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। এরপরই কাউন্সিলরদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে অনেকেই গাঢাকা দিয়েছেন। কেউ কেউ গোপনে বিদেশে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের আগেই এসব কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দুই মেয়রের কাছে একাধিক অভিযোগ এলে মেয়ররা তাদের সতর্ক করে দেন। কিন্তু মেয়রদের কথা উপেক্ষা করে তারা তাদের নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব কাউন্সিলর দায়িত্ব নেয়ার পর সিটি করপোরেশনের নিয়মিত বোর্ড সভায়ও আসেননি। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একাধিকবার তাদের নোটিশও দেয়া হয়। কিন্তু তারা এ নিয়ে কোনো মাথাই ঘামাননি। কারো কারো বিরুদ্ধে সরকারের অনুমতি ছাড়া একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণেরও অভিযোগ রয়েছে।

এসব বিষয়ে মেয়ররা বারবার সতর্ক করলেও তারা সে কথার কর্ণপাত করেননি। অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচিত হওয়ার পর তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকার বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংগঠন, মার্কেট ও ফুটপাথ নিয়ন্ত্রণে নেন। জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। ফলে তারা মেয়রসহ কাউকেই পরোয়া করেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও তাদের তালিকা রয়েছে বলে জানা গেছে। এ কারণে যেকোনো সময় আটক হতে পারেন- এমন আশঙ্কায় রয়েছেন কাউন্সিলরেরা। একাধিক ওয়ার্ড কাউন্সিলের সাথে কথা বললেও তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ দিকে ঢাকার দুই মেয়রও বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, সব কাউন্সিলর অপরাধের সাথে জড়িত নন। তবে হাতের পাঁচ আঙুল যেমন সমান না তেমনি কেউ কেউ অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িতও হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কেউ অপরাধ করলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সূত্র: নয়া দিগন্ত

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন