কামাল হোসেন নিজেই আইসোলেশনে আছেন : আবু সাইয়িদ

  14-03-2020 09:13PM

পিএনএস ডেস্ক : আজ শনিবার মতিঝিলে সভা করেন সাবেক নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ও অন্যতম শীর্ষ নেতা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদের নেতৃত্বাধীন অংশটি।

টালমাটাল অবস্থায় গণফোরাম। দু’পক্ষের দূরত্ব তো কমছেই না বরং সংকট ঘনীভূত হচ্ছে দিন দিন। শুক্রবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেন সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন অংশ। আর সেটি না মেনে শনিবার সভা করে অপর পক্ষের নেতা বললেন, ড. কামাল হোসেন নিজেই নাকি আইসোলেশনে!

সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ। তাকে নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।

সভার সভাপতি ড. আবু সাইয়িদ বলেন, কামাল হোসেন নিজেই আইসোলেশনে আছেন, তার পাশে কেউ নাই। আমরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দল চলবো। দলের ভিতরে গণতন্ত্র না চললে জাতীয় গণতন্ত্রের কথা বলা বাতুলতা। দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে আমরা ধৈর্য ধরবো।

গণফোরাম অস্তিত্ব সংকটে আছে উল্লেখ করে সভায় এ অংশের নেতারা বলেন, দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে ঘিরে কুচক্রিমহল তাদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভা না হওয়ায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নষ্ট হয়েছে।

দলের সকল প্রবীণ নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে দলের ভাঙ্গন রোধে উদ্যোগ নিতে ড. কামাল হোসেনের প্রতি আহবান জানান তারা।

উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কারে জর্জরিত গণফোরাম। মূলত, বিগত জাতীয় নির্বাচনের পর ড. রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়ার পর নতুন নেতৃত্বের সাথে সুব্রত চৌধুরী-মোস্তফা মহসিন মন্টুদের নেতৃত্বাধীন অংশের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।

এর জের ধরে বেশ কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করেন ড. রেজা কিবরিয়া। বহিষ্কৃত নেতারা আবার তাকে পাল্টা বহিষ্কার করেন। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে দেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি হন তিনি, অন্যদিকে ড. রেজা কিবরিয়াকে দেয়া হয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব।

গণফোরাম ভাঙার আলামত স্পষ্ট। সেটি কতটা ঠেকানো যায় এটি সময়ই বলে দেবে। তবে, গণফোরামের এমন দ্বন্দ্ব ভাবাচ্ছে তার ঐক্যফ্রন্টের শরীক বিএনপিকেও। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিষয়টি নিঃসন্দেহে গণফোরামের দলীয় ব্যাপার, তবে এ ধরনের বিভক্তি আমাদের কাম্য নয়। জাতি যখন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছে সেই সময় একটি গণতান্ত্রিক দলে বিভক্তি কাম্য হতে পারে না।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন